খুলনা মহানগরীর রূপসা-শিপইয়ার্ড, সোনাডাঙ্গার এম এ বারি লিংক সড়ক ও মুজগুন্নী সড়ক চলমান বর্ষা মৌসুমে চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপোযুগী হয়ে পড়েছে। অবিলম্বে এসব সড়ক সংষ্কারের দাবি জানান নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) খুলনা মহানগর শাখার নেতৃবৃন্দ। তা না হলে নগরবাসিকে নিয়ে দূর্বার আন্দোলনে নামার হুশিয়ারি দেন তারা।
রোববার রাতে নবগঠিত মহানগর কমিটির এক সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, খুলনার উন্নয়নের দায়িত্বে থাকা কেডিএর উন্নয়ন কাজ মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিশেষ করে অধিকাংশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দেখা দিয়েছে স্থবিরতা, দীর্ঘসূত্রিতা এবং নানা ধরনের অনিয়ম। এর ফলে খুলনাবাসী তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, পিছিয়ে পড়ছে সম্ভাবনার খুলনা শহর। কেডিএ যে সংযোগ সড়কগুলো তৈরি করেছে তা এখন মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে নগরবাসীর।
খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি এসএম ইকবাল হোসেন বিপ্লব সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নিরাপদ সড়ক চাইয়ের (নিসচা) কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আজাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নিসচার খুলনা জেলা শাখার সভাপতি হাছিবুর রহমান হাছিব।
নিসচার খুলনা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্নার সঞ্চালনায় সভায় বক্তৃতা করেন সহ-সভাপতি শেখ মো: নাসিরউদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো: রুহুল আমীন তালুকদার সোহাগ, অর্থ সম্পাদক মো: নাজমুল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক এম মোস্তফা কামাল, ক্রীড়া সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম সাগর, মহিলা সম্পাদক শিরিনা পারভীন, কার্যনির্বাহী সদস্য আবু মুসা, ইদ্রিস আলী মামুন, তাজুল ইসলাম, ইসরাইল হোসেন মাহবুব হোসেন, প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, খুলনার সড়কগুলোর বেহাল দশা। নিসচার চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের মতো সড়কের যেখানেই দূর্ভোগ সেখানেই নিসচার মহানগর কমিটির যে কোন সদস্য ফেসবুকে লাইভ দিবে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের নজরে আসবে বিষয়টি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া কোন প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানকে মটরসাইকেল কিনে না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ জানান তিনি। মোটরসাইকেলের পিছনে বসা ব্যক্তিকে হেলমেট ব্যবহারেরও অনুরোধ জানান প্রধান অতিথি।
সভায় নতুন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাছে।