শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় প্রেমে ব্যর্থ হয়ে চিরকুট লিখে এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের নাম রাবেয়া (১৮)।
সোমবার সকালে ডামুড্যার থানার ব্রিজের সামনে শরীফ মঞ্জিলের নিচতলায় ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওই কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রাবেয়া ডামুড্যার কনেশ্বর ইউনিয়নের সুতলকাঠি গ্রামের বিল্লাল সরদারের মেয়ে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্র জানা যায়, রোববার রাতে একসঙ্গে খাবার খেয়ে রাবেয়া ও ফারহানা (৮) ঘুমিয়ে পড়ে। হঠাৎ ফারহানা ফ্যানের সঙ্গে কিছু একটা ঝুলতে দেখে চিৎকার দেয়। এ সময় পাশের রুমে থাকা ফারহানার বাবা ফারুক শাহ দৌড়ে এসে রাবেয়ার লাশ ঝুলতে দেখেন। এর পর পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করেছে।
আত্মীয় ফারুক শাহ বলেন, রাবেয়া আমার বেয়াইয়ের মেয়ে। আমার বাসায় বেড়াতে আসে সে। গত রাতে একসঙ্গে আমরা রাতের খাবার খাই। এর পর সে ঘুমিয়ে পড়ে। আমার মেয়ের চিৎকারে আমি দৌড়ে আসি। পরে দেখি রাবেয়া ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে। তার পাশেই একটি চিরকুট লিখে রাখে সে।
রাবেয়ার চিরকুটে লেখা ছিল— আমি রাবেয়া আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী জাকির আর জাকিরের মা, বাবা, বড় ভাই, ভাবি ও বোন। জাকির আমাকে যেমন এই পৃথিবীতে বাঁচতে দেয়নি, আমি তার কঠিন শাস্তি চাই। আমাকে জাকির পৃথিবীতে থাকতে দেয়নি। আমিও চাই না, যে জাকির পৃথিবীতে বাঁচুক। আমি জাকিরের মরণ চাই। সবার কাছে আমার একটা আবেদন— আমি জাকিরের কঠিন শাস্তি চাই। আমাকে মরে যেতে বাধ্য করেছে জাকির।
ডামুড্যা থানার ওসি শরীফ আহমেদ বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করে শরীয়তপুর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।