আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে চলছে প্রতিমা নির্মানের কাজ মাত্র কয়েকটাদিন পরেই শুরু হবে দুর্গা উৎসব। মাগুরা জেলার ৪টি থানায় মোট ৭১২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ। গত বছর জেলায় ৬০২টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেখানে এ বছর আরও ১০৯টি পূজা বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামী ১১ই অক্টোবর সোমবার মহাষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে দেবীর বোধন আমন্ত্রণ অধিবাস দিয়ে শুরু হয়ে ১৫ই অক্টোবর শুক্রবার মহা বিজয়া উৎসবের মধ্যে দিয়ে এ দুর্গাপূজা শেষ হবে। এবার সদর উপজেলায় ২৩২টি, শ্রীপুরে ১৫৪টি, শালিখায় ১৭১টি, মহম্মদপুরে ১৩২টি ও পৌরসভায় ২৩টিসহ জেলায় মোট ৭১২টি মন্ডপে এ দুর্গা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর দুর্গাপূজায় কোনো আলোকসজ্জা, মেলা, আরতি প্রতিযোগিতা, কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে মন্দির প্রাঙ্গণে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরা সদরের বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রতিমা শিল্পিরা ইতিমধ্যে প্রতিমায় মাটির কাজ শেষ করেছেন।
চলছে রং-তুলির কাজ। কোনো কোনো প্রতিমায় দেয়া হচ্ছে সাদা রং। প্রতিমা শিল্পি মুকুল বৈদ্য বলেন, বতমানে ব্যস্ত সময় পার করছি। বেশ কিছু প্রতিমার কাজ পেয়েছি কিন্তু পারিশ্রমিক ভালো পাচ্ছি না। ইতিমধ্যে পূজা মন্ডপে চলছে ডেকোরেশনের কাজ। গত বছরের তুলনায় এবার পূজার সংখ্যা অনেক বেশি। আগে যে প্রতিমা ৫০ হাজার টাকায় তৈরি করেছি সেই প্রতিমা এখন ২৫ হাজার টাকায় তৈরি করছি। সারা বছর আমাদের এ দুর্গাপূজার আয়ের টাকায় চলে সংসার। মাগুরা নতুন বাজার স্মৃতি সংঘের পূজা মন্ডপের আয়োজক প্রকাশ সাহা বলেন, প্রতি বছরের মত এ বছরও পূজার আয়োজন চলছে। তবে এ বছর দুর্গাপূজার অনুষ্ঠান সীমিত করা হয়েছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। মাগুরা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কন্ডু বলেন, মাগুরা জেলা একটি সাম্প্রদায়িক সস্প্রীতির মেল বন্ধন। এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম সবাই মিলেমিশে বাস করে। এ বছর জেলায় ৭১২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা হবে। তবে এবার পূজায় উৎসব আমেজ সীমিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম নিরাপদ নিউজকে বলেন, এবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা উদ্যাপনের জন্য জেলা পুলিশ কাজ করবে। পাশাপাশি প্রতিটি পূজা মন্ডপে আনসার, গ্রাম পুলিশ, পূজা পরিষদের স্বেচ্ছাসেবক সদস্যরা কাজ করবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসন থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে মোবাইল টিমসহ ডিবি পুলিশের টহল ও গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করবে।