ঝিনাইদহ আদালতে মালখানায় ওয়েল্ডিং মেশিন বিস্ফোরিত হয়ে শফিকুল ইসলাম (২০) নামে শ্রমিক নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরো তিনজন।
রোববার দুপুরে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের মালখানায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শফিকুল সদর উপজেলার কাষ্টসাগরা গ্রামের বশির শেখের ছেলে। আহতরা হলেন- আড়ুয়াকান্দি গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে মোস্তাক হোসেন, ভগবাননগর এলাকার মসলেম হোসেনের ছেলে আসাদ হোসেন ও লোতাহার হোসেনের ছেলে রাজীব হোসেন।
ঘটনার পর ওই ভবনসহ আশেপাশে এলাকা ধুয়া ছড়িয়ে পড়ে। ধোয়া আর বিকট শব্দে সেখানে থাকা মানুষ আতংকে দিকবিদিক ছুটাছুটি শুরু করে। দুর্ঘটনায় কবলিত ভবনের ঠিক উপরে চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কার্যালয় রয়েছে।
সংবাদ পেয়ে সেখানে ছুটে আসে, জেলা প্রশাসক, ফায়ার সার্ভিস, জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
ঘটনাস্থলে ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্য রিয়াজ হোসেন জানান, অনুপম নামের অপর পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলের পাশে পানি খাচ্ছিল। এসময় বিকট শব্দে ভিতরে বাস্ট হয়। এসময় জানালার কাচ ভেঙ্গে ছুটে এসে অনুপমের বুকে আঘাত লাগে।
আদালতের পিপি ইসমাইল হোসেন জানান, চারজন মিস্ত্রি আদালতের মালখানায় কাজ করছিল। এখানে ওয়েল্ডিং মেশিন বাস্ট হয়ে বিস্ফরণ ঘটে। এতে এক শ্রমিকের দুই পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি এসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর শামিমুল ইসলাম জানান, আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। এরপর সেখান থেকে আহত একজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পৌছে দিয়েছি। তবে কি কারনে বিস্ফোরণ ঘটেছে তা তিনি বলতে পারেননি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে পরে নিশ্চিত হয়ে জানানো হবে।
ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, এখানে কোন বোমা বিস্ফোরিত হয়নি। ওই ভবনে সকাল থেকে ওয়েল্ডিং এর কাজ চলছিল। দুপুর দেড়টার দিকে হঠাৎ একটি মেশিন বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে চার মিস্ত্রি আহত হয়। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধয়ক হারুন অর রশিদ আহত শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।