গোসল করতে নেমে এক ডুব দেওয়ার পর দেখি আমি পানির নিচে চলে যাচ্ছি। তখন বুঝতে পারি যে আমাকে কুমিরে ধরেছে। কুমির আমাকে টেনে নিয়ে যেতে থাকে মাটির দিকে। আমি জানি যে পানিতে কুমিরের সঙ্গে কোনো শক্তি কাজ করে না। ওর শরীরে আঘাত করে কোনো লাভ নেই। ওর চোখে যদি আঘাত করা হয় তাহলে ও ভাসতে পারে আর আমাকে ছেড়ে দিতে পারে।
তখন আমি মাটিতে পা বাঁধিয়ে বাম হাত দিয়ে ওর চোখে আঘাত করি। এতে কুমির আমাকে ছেড়ে দেয়। তখন আমি ওপরে উঠে আসি।
ভেসে ওঠার পর দেখি আমি নদীর মধ্যে ১৫-২০ হাত দূরে। তখন আমি চিৎকার করি। পরে সাঁতার কেটে পাড়ে এলে আমার আব্বা আর দুই ভাই আমাকে টেনে তোলেন।
সুন্দরবনের খালে গোসল করতে নেমে কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফেরা শিক্ষার্থী রাজু হাওলাদার এভাবেই বর্ণনা করছিলেন কুমিরে ধরার ঘটনা।
মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) দুপুরে সুন্দরবনের ঢাংমারী খালে গোসল করতে নামলে একটি কুমির আক্রমণ করে রাজু হাওলাদারকে। রাজু পূর্ব সুন্দরবনসংলগ্ন খুলনার দাকোপ উপজেলার বানীশান্তা ইউনিয়নের পূর্ব ঢাংমারী গ্রামে নজির হাওলাদারের ছেলে।
রাজু রাজধানীর মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। ঈদের ছুটিতে তিনি গ্রামের বাড়িতে যান। তার ক্ষত জায়গায় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন তিনি অনেকটা সুস্থ।
রাজু আরও বলেন, ঢাংমারী খালে প্রায় বড় বড় দুটি কুমির দেখা যায়। তাই বন বিভাগের পক্ষ থেকে খালে নামতে নিষেধ করা হয়। তারপরও স্থানীয়রা না শুনে খালে গোসল ও মাছ ধরতে নামেন। ফলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।