শরীয়তপুরের ডামুড্যাতে সাপের কামড়ে মজিবর হাওলাদার (৬৫) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার ধানকাটি ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মজিবর হাওলাদার ধানকাঠি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে ধানকাঠি ইউনিয়নের মঠেরহাট বাজার এলাকায় ধানের জমির আগাছা পরিষ্কার করতে যান মজিবর হাওলাদার। আগাছা পরিষ্কার করার এক পর্যায়ে তার পায়ে একটি বিষধর সাপ কামড় দেয়।
বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তাকে দ্রুত জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসক নেই এমন অজুহাতে তাকে সাপে কাটার এন্টিভেনম দেওয়া হয়নি। পরে উপায় না দেখে মজিবর হাওলাদারকে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
মজিবর হাওলাদারের মেয়ে জামাই সুমন দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, আমার শ্বশুরকে অসুস্থ অবস্থায় সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরে চিকিৎসক নেই বলে ভ্যাকসিন দেয়নি। তারা যদি তখন ভ্যাকসিন দিতো তাহলে হয়তো আজ তিনি বেঁচে থাকতেন। চিকিৎসকের অসহযোগিতার কারণেই তিনি মারা গেছেন।
ধানকাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা (রতন) বলেন, মজিবর ভাইয়ের এমন মৃত্যু মেনে নেওয়ার মতো নয়। তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পরে কর্তব্যরত নার্স বলেন ডাক্তার দুপুরের খাবার খেতে গেছেন আপনারা অপেক্ষা করেন। একজন সাপে কাটার রোগীকে নিয়ে অপেক্ষা করলে তিনি কিভাবে বাঁচবেন। পরে বাধ্য হয়ে জরুরি সেবা নাম্বারেও কল দেওয়া হয়েছিল। চিকিৎসকের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, সাপে কাটার রোগীদের জন্য হাসপাতালে ভ্যাকসিন রয়েছে। এছাড়াও যে কোনো ডাক্তার সেই ভ্যাকসিন দিতে পারেন। আমি ঢাকায় বিষয়টি জানতে পারিনি। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো কোনো ডাক্তার ডিউটিতে ছিলেন। আর কেন ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি। যদি কোনো চিকিৎসকের গাফলতি থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।