মাগুরা মহম্মদপুরে মেয়ের সাবেক প্রেমিকের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মা ও বাবা। শনিবার (৭ মে) দিবাগত রাতে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা সদরের রায়পাশা গ্রামে তাদের ওপর হামলা করা হয়।
রোববার (৮ মে) দুপুরে মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ইলিয়াস মোল্যা (৪০) জানান, তার মেয়ে অনিমা (১৬) এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী। প্রতিবেশী রব্বান বিশ্বাসের ছেলে মারুফ বিশ্বাসের (২২) সঙ্গে তার মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়ের বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মারুফ ও তার স্বজনেরা নানাভাবে হয়রানি করে আসছে। সম্প্রতি মেয়ে অনিমার একই উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের রাজপাট গ্রামে বিয়ে হয়।
ইলিয়াস মোল্যা আরও জানান, বিয়ের পরও অনিমাকে তালাক করিয়ে বিয়ে করার জন্য মেয়ের স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছে মারুফ। ঈদে অনিমা বাবার বাড়ি রায়পাশায় বেড়াতে আসলে মারুফ তাকে বিয়ে করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকে। এক পর্য়ায়ে ঘরে ঢুকে অনিমা মারধর করে। এ ঘটনায় মারুফসহ পাঁচজনের নামে মহম্মদপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ইলিয়াস মোল্যা।
তিনি আরও জানান, এই ঘটনার জেরে মারুফ ও তার স্বজন ১০-১২ মিলে শনিবার (৭ মে) রাতে ইলিয়াস মোল্যা ও তার স্বজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটার আঘাতে ইলিয়াস মোল্যা (৪০), তার স্ত্রী রেহেনা পারভীন (৩৫) গুরুতর আহত হয়। তাদের মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ছেলে জিহাদ (১৫) আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
এ ঘটনায় মারুফের চাচা সাহের আলী (৪৫) আহত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
ইলিয়াস মোল্যা জানান, মারধর ও কুপিয়ে জখম করার পর রায়পাশা তিন রাস্তার মোড়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুট করা হয়। এখন হাসপাতালে এসে মামলা না করার জন্য ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। তিনি ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
মারুফ বিশ্বাস মোবাইল ফোনে প্রেমের কথা স্বীকার করলেও হামলা ও মারধরের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
মহম্মদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মকসেদুল মোমিন জানান, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম নিয়ে তিন জন ভর্তি আছেন। তবে তারা শঙ্কামুক্ত।
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরামুল হোসেন নিরাপদ নিউজকে বলেন ঘটনা সত্য , মামলার প্রস্তুতি চলছে।