ফ্রি-ফায়ার খেলতে গিয়ে বাংলাদেশি ওমর আলীর সাথে পরিচয় হয় ভারতীয় সাথী সরকারের। পরে তা পরিণত হয়ে প্রেমে। প্রেমের টানে বাংলাদেশে আসা ভারতীয় ওই তরুণীকে অবশেষে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশে আসার প্রায় ১০ মাস পর রবিবার দুপুরে দর্শনার জয়নগর সীমান্ত দিয়ে তাকে ফেরত পাঠানো হয়। সাথী সরকার ভারতের নদীয়া জেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের পরিতোষ সরকারের মেয়ে।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আবু নাঈম জানান, দুই বছর আগে অনলাইনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলতে গিয়ে সাথীর সাথে পরিচয় হয় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার আব্দুল হালিমের ছেলে ওমর আলীর। পরে প্রেমের টানে ২০২১ সালের ১৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে কুষ্টিয়ায় ওমর আলীর বাড়িতে আসেন সাথী। পরদিন কুষ্টিয়া আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্ম পরিবর্তন করে নাম রাখেন সাথী খাতুন। সেখানে দুইজন বিয়েও করেন। চলতি বছরের ২১ মার্চ রাতে সাথীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। সাথীর বয়স কম হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়ার সামাজিক ও প্রতিবন্ধী ও পূর্ণবাসন কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দেন আদালত।
সকল আইনী প্রক্রিয়া শেষে রবিবার তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনারের ডেপুটি কনসোলার দেবব্রত চক্রবর্তী, বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার আব্দুল জলিল, কুষ্টিয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির উদ্দিন, ভারতের পক্ষে বিএসএফ এর গেদে কোম্পানি কমান্ডার এসএ নগেন্দ্র হালদার, গেদে ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সন্দীপ তিওয়ারি, নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানার ইনচার্জ বাপিন মুখার্জি, গেদে কাস্টমস সুপার অজয় নারায়ণ রায়, কাস্টমস ইন্সপেক্টর প্রশান্ত কুমার ঘোষসহ সংশ্লিষ্টরা।