দেশে গত ১১ বছরে বজ্রপাতে ২ হাজার ৮০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর এ বছর চলতি মাস (১১ অক্টোবর) পর্যন্ত ৩২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এক বছরে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু আগের যেকোনো বছরের রেকর্ড ভেঙেছে।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বজ্রপাতে যাদের মৃত্যু হয়েছে, তাদের বেশির ভাগই খোলা মাঠ ও হাওরের মধ্যে কৃষিকাজ করছিলেন।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, বজ্রপাতে আমরা যতগুলো মৃত্যুর খবর দেখেছি, সবগুলো খোলা মাঠ ও হাওরের মধ্যে। শহরে যারা ঘরবাড়িতে বসবাস করে তারা বজ্রপাতে মৃত্যুবরণ করে না। আমরা বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের মতো বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র করার পরিকল্পনা করেছি। বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা এবং অন্য এলাকাতেও এটা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বজ্রপাত আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ১ শতাংশ জায়গায় একটি করে পাকা ঘর নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি ঘরে একটি করে বজ্রপাত প্রতিরোধী দণ্ড থাকবে। সতর্কবার্তা শোনার পর মানুষ সেই আশ্রয়কেন্দ্রে যাবে। বজ্রপাত না হওয়া পর্যন্ত তারা অপেক্ষা করবে।
২০১১ সালে ১৭৯ জন, ২০১২ সালে ২০১ জন, ২০১৩ সালে ১৮৫ জন, ২১৪ সালে ১৭০ জন, ২০১৫ সালে ২২৬ জন, ২০১৬ সালে ৩৯১ জন, ২০১৭ সালে ৩০৭ জন, ২০১৮ সালে ৩৫৯ জন, ২০১৯ সালে ১৯৮ জন ও ২০২০ সালে ২৫৫ জন বজ্রপাতে মারা গেছেন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৩২৯ জন মারা গেছেন বলে জানান এনামুর রহমান।