English

24 C
Dhaka
শনিবার, নভেম্বর ১৬, ২০২৪
- Advertisement -

২০২১ সালে ১৬৩৭ নারী ও শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার

- Advertisements -

বিদায়ী বছরে সারা দেশে ১৬৩৭ জন নারী ও শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। যার মধ্যে ৬৯২ জন নারী এবং ৯৪৫ শিশু ও কিশোরী। আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এর সংবাদ সম্মেলনে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন এমএসএফ’র নির্বাহী প্রধান অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন এমএসএফ’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের মেম্বার অ্যাডভোকেট সানাইয়া ফাহিম আনসারী প্রমূখ।

সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরা মানেই সরকারের বিরুদ্ধে যাওয়া নয়। আমাদের দেশে মানবাধীকার সংস্কৃতির অভাব রয়েছে। মানবাধিকার মূলত প্রতিদিনের চর্চার বিষয়। পারিবারিক থেকে সামাজিক জীবনে চলতে ফিরতে এটির চর্চা করতে হবে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রকে আমরা দায়ি করি তখন তখন বলা হয় না তাঁরা দায়ী নয়। কাজে এই সমস্ত বিষয়ে একটি স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি যদি আমরা মানসম্মত জীবন যাপন করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই এই সংগঠেনর কাজ শুরু করি।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্যগুলো এসেছে, যেগুলো আমরা সংগ্রহ করেছি তা যাচাই বাছাই করে এই প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়েছে।

২০২১ সালে নারী শিশু ও কিশোরীদের প্রতি সহিংসতার তথ্যে জানানো হয়, দেশের ভিবিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত ও সংগঠনের সংগৃহিত তথ্য অনুযায়ী বিদায়ী বছরে নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা ধর্ষণ. গণধর্ষণ, ধর্ষণের পর হত্যা ও পারিবারিক সহিংসতা বিগত সময়ের তুলনায় উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। দেশে কঠোর আইন থাকা সত্বেও এসব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার পেছনে বিচারহীনতা, বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এমএসএস’র তথ্যে জানানো হয়, ২০২১ সালে ৬৯২ জন নারী ও ৯৪৫ জন শিশু ও কিশোরী যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনার মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা রয়েছে ৩৯৬টি, গণর্ধষণের ঘটনার শিকার হয়েছেন ১০৭ জন নারী, র্ধষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ১১ জন নারী। এ ছাড়া ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন নারী। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮২ জন ও যৌন হয়রানীর শিকার হয়েছেন আরো ৮২ জন নারী। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১ জন। অ্যাসিড নিক্ষেপের শিকার হয়েছেন ১৬ জন নারী।

অপরদিকে একই বছর নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনে ৩৩০ জন, ৮২ জনের অস্বাভাবিক মত্যুসহ ৫৭৮ জন নারী হত্যার শিকার হয়েছেন। আত্মহত্যা করেছেন ৪২৩ জন নারী। অপহরণ করা হয়েছে ৫ জন নারীকে, নিখোঁজ রয়েছেন ২৩ জন নারী। নারী প্রতি সহিংসতার শিকারে রয়েছেন ১৪ জন প্রতিবন্ধী নারী। গণমাধ্যম সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রতিশোধ, পারিবারিক বিরোধ, যৌতুক, প্রেমঘটিত জটিলতা ইত্যাদি কারণে এ হত্যাকান্ডগুলো সংঘটিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ৯৪৫টি শিশু ও কিশোরী যৌন নির্যাতনের ঘটনায় ৪৭৯ জন শিশু ও কিশোরী ধর্ষণ, ১১২ জন গণধর্ষণ শিকার হয়েছেন। ধর্ষণ ও হত্যার করা হয়েছে ২৫ জন শিশুকে, ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ৩ জন শিশু কিশোরী, ৭৮ জন প্রতিবন্ধী শিশু ও কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন ১১১ জন শিশু কিশোরী ও ধর্ষণের চেষ্টার শিকার হয়েছেন ১৩৭ জন শিশু কিশোরী।

অপরদিকে ২০২১ সালে শিশুদের প্রতি সহিংসতার ঘটনায় শারীরিক নির্যাতনে ১০৬ জন, ২৪ জনের অস্বাভাবিক মৃত্যুসহ ১৯৫ জন শিশু কিশোরী হত্যার শিকার হয়েছেন। আত্মহত্যা করেছেন ২৩৬ জন শিশু। অপহরণ করা হয়েছে ৩৮ জন শিশুকে, নিখোঁজ রয়েছেন ৫৫ জন শিশু। শিশুদের প্রতি সহিংসতার শিকারে রয়েছেন ১২ জন প্রতিবন্ধী শিশুও। এ ছাড়া বিদায়ী বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৩৫ জন জীবিত ও ৫৮ জন মৃত, মোট ৯৩ জন নবজাতক শিশুকে পাওয়া গেছে যা অমানবিক ও নিন্দনীয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন