ফরিদপুর সদরের বাখুন্ডা শরীফ জুট মিলের সামনের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া বাসটির ফিটনেস ছিল না। মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল ট্যাক্স-টোকেন ও চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স। দুর্ঘটনার পর বাস চালক পলাতক রয়েছেন। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি ফরিদপুরের এক আওয়ামী লীগ নেতার।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ফরিদপুরের কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উলটে খাদে পড়ে বাবা-ছেলেসহ সাতজন প্রাণ হারান। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৮ জন।
বিআরটিএ ফরিদপুরের কার্যালয় সূত্র জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত ফরিদপুরগামী হাইডেক্স পরিবহণের বাসটির মালিক ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ফায়জুর রহমান। তিনি ভাঙ্গা উপজেলা পৌর সদরের কোর্টপাড় এলাকার বাসিন্দা। বাসটির ফিটনেস সনদ ও ট্যাক্স টোকেনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনার পর বাস চালক পালিয়ে যান। তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিআরটিএ ফরিদপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবলিত বাসটির ফিটনেস সনদের মেয়াদ গত ৫ মার্চ শেষ হয়েছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ২৬ জুন বাসটির ট্যাক্স-টোকেনের মেয়াদও শেষ হয়েছে।’
এ বিষয়ে কথা বলতে ফায়জুর রহমানের মোবাইলে বার বার ফোন দেওয়া হলেও তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
এদিকে দুর্ঘটনার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসন। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিন্টু বিশ্বাসকে। কমিটিকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান মোল্লা বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ও সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।