English

21 C
Dhaka
রবিবার, নভেম্বর ১৭, ২০২৪
- Advertisement -

২০২৩ সালে মহাকাশে নভোচারী পাঠাতে চায় বোয়িং

- Advertisements -

আট দিনের ওই অভিযানে মহাকাশ স্টেশনে যাবেন নাসার ব্যারি উইলমোর ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে প্রথমবারের মতো ‘স্টারলাইনার’ ব্যবহার করে নভোচারী পাঠানোর লক্ষ্য স্থির করেছে বোয়িং।

বৃহস্পতিবার এই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন নাসা ও বোয়িং কর্মকর্তারা। অসম্ভব খরুচে ও বিলম্বিত এ প্রকল্প ‘বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে’ আছে বলে জানিয়েছেন তারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্চে নাসার তত্ত্বাবধানে মহাকাশ স্টেশনে স্টারলাইনারের দ্বিতীয় যাত্রীবিহীন অভিযান সফল হওয়ার প্রায় এক বছর পর প্রথমবারের মতো নভোচারী পাঠাবে বোয়িং।

২০১৯ সালে একই ধরনের একটি পরীক্ষামূলক যাত্রা পরিচালনা করেছিল বোয়িং। তবে, সফটওয়্যার জটিলতার কারণে সেটি ব্যর্থ হয়।

অভিযানটিতে মহাকাশযানের কয়েকটি ‘থ্রাস্টার’ ব্যর্থতার কথা বলেছিলেন স্টারলাইনার প্রধান মার্ক নাপ্পি। তাই মার্চের অভিযানে থাকা বিভিন্ন ত্রুটির সমাধান হলেই কেবল যাত্রীবাহী এই অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করছে বোয়িং ও নাসা।

“আমরা উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছি ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি নাগাদ।” — এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন নাসার স্টারলাইনার প্রকল্প প্রধান স্টিভ স্টিচ।

নাপ্পি আরও বলেছেন, বোয়িংয়ের থ্রাস্টার সংক্রান্ত ত্রুটির সমাধানে নাসা অনুমোদন দিলে নভেম্বর মাসেই ‘অ্যাটলাস ৫’ রকেটের সঙ্গে সমন্বিত হবে যাত্রীবাহী স্টারলাইনার ক্যাপসুলটি।

বোয়িং ও লকহিড মার্টিনের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে অ্যাটলাস ৫ রকেট।

আট দিনের এই অভিযানে মহাকাশ স্টেশনে গিয়ে আবার ফিরে আসবেন নাসার ব্যারি উইলমোর ও ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন নভোচারী সুনিতা উইলিয়ামস। স্টারলাইনারকে নিয়মিত যাত্রীবাহী অভিযান পরিচালনার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে এটিই নাসার সর্বশেষ পরীক্ষামূলক অভিযান।

চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে স্পেসএক্সের ‘ড্রাগন’ ক্যাপসুলের পর মহাকাশ স্টেশনে যাত্রী পাঠানোর কাজে নাসার দ্বিতীয় বাহন হবে স্টারলাইনারের এই ক্যাপসুল। ‘ড্রাগন’ ক্যাপসুলটি অনুমোদন পেয়েছিল ২০২০ সালে।

স্টারলাইনার প্রকল্পের জন্য নাসার সঙ্গে সাড়ে চারশ কোটি ডলারের একটি চুক্তি করেছে বোয়িং। পাশাপাশি, চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ছয়টি নিয়মিত মহাকাশ অভিযানের কথাও উল্লেখ রয়েছে এই চুক্তিতে।

জুলাই মাসে বোয়িং জানিয়েছিল, উৎক্ষেপণের সময় বদল ও বিভিন্ন কারিগরি ত্রুটির সমাধান করতে মার্চে স্টারলাইনারের পরীক্ষামূলক অভিযানটির পেছনে খরচ হয়েছে নয় কোটি ৩০ লাখ ডলার।

২০১৯ সালের পরীক্ষা ব্যর্থ হওয়ার পর বোয়িংয়ের স্টারলাইনার প্রকল্পে মোট খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ৬৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন