তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত বরাবর গত বছর শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল। শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, দেশটিতে আঘাত হানা ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫৩ হাজার ৫৩৭ জন মারা গেছেন। ফলে দুই দেশ মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ হাজার।
সিরিয়ার সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়।
কিন্তু উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সমর্থিত কর্মকর্তরা জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৪ হাজার ৫৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
ফলে দুই দেশের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটিতে ৫৯ হাজার ৪৮৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হয় পেরুতে। ১৯৭০ সালের ভূমিকম্পে দেশটিতে ৬৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
ভূমিকম্পের কয়েক সপ্তাহ পরেই মৃত্যুর সংখ্যা ঘোষণা করেছিল তুরস্কের সরকার। তখন প্রকাশিত মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫০ হাজার ৭৮৩।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলি ইয়ারলিকায়া ভূমিকম্পের বছরপূর্তিকে সামনে রেখে আপডেট পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন, যা তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বের ১১টি প্রদেশকে প্রভাবিত করেছে।
ওই ভূমিকম্পে তুরস্কের এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও জানানো হয়। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে অন্তত ৩৮ হাজার ৯০১টি ভবন ধসে যায়।