গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ মিকাদ বলেন, ‘বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ারদের বিভিন্ন দল গত ১১ দিনে গাজায় ইসরায়েলের ভারী গোলাবর্ষণের যেসব অবিস্ফোরিত গোলা রয়ে গেছে তা নিষ্ক্রিয় করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত ১২০০ ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র, ট্যাংক ও কামানের শেল ধ্বংস নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।’
তিনি আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি না থাকায় এ বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজটি ঠিক মতো করা যাচ্ছে না। ইসরায়েল যে বোমাগুলো নিক্ষেপ করেছে তা যদি বিস্ফোরিত হতো তাহলে এটি গণহত্যার কারণ হত।’
এছাড়াও এ বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজে তিনি রেড ক্রসের মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে বলেন। যাতে করে তারা এ কাজগুলো নিরীক্ষণ করতে পারেন এবং বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সরবারহ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ‘ইসরায়েলের অবরোধের কারণে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজে নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের সুরক্ষা সামগ্রীগুলো গাজাতে পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে তাদের কাজ করাটা আরো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, মিসরের মধ্যস্ততায় যুদ্ধ বিরতির আগে গাজায় ১১ দিন ধরে বোমাবর্ষণ করে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ২৮৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এসময় ইসরায়েলি হামলায় সমগ্র গাজা শহর ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়। হাসপাতাল, গণমাধ্যম এমনকি স্কুল লক্ষ্য করেও বোমা হামলা করেছে ইসরায়েল।