যুক্তরাষ্ট্রের ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে মাইকেল হাইট নামের (৪৫) এক ব্যক্তি স্ত্রী, পাঁচ সন্তান ও শাশুড়িকে গুলি করে হত্যা করেছেন। এরপরে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করায় হতাশা ও ক্ষোভ থেকে এমন ভয়ানক কাজ করেছেন হাইট।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএস নিউজ এসব তথ্য জানায়।
এর আগে, বুধবার (৪ জানুয়ারি) ইউটাহ’র ইনোক সিটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে একই পরিবারের ৫ শিশুসহ ৮ সদস্যের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, মাইকলে হাইটের স্ত্রী তৌশা হাইট (৪০), শাশুড়ি গেইল আর্ল (৭৮) ও ৪ থেকে ১৭ বছর বছর বয়সী তিন মেয়ে ও দুই ছেলে।
ইনোক সিটির ম্যানেজার রব ডটসন জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে ওই বাড়ির কাউকে দেখতে না পেয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে বাড়িতে প্রবেশ করে দেখতে পায়, পরিবারের ৮ সদস্যের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশ বাসা থেকে মরদেহগুলো বের করে আনে।
এনোকের পুলিশ প্রধান জ্যাকসন আমেস বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কয়েক বছর আগে স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা হাইট ও তার পরিবারের কোনো একটি বিষয় নিয়ে তদন্ত করেছিলেন। তবে বিষয়টি কী ছিল তা বিস্তারিত বলেননি আমেস।
রব ডটসন বলেন, নিহতরা সবাই শহরের বেশ সুপরিচিত ছিলেন। তাদের সঙ্গে আমরা স্থানীয় কমিউনিটি ও গির্জায় একসঙ্গে কাজ করেছি। তাদের এমন নির্মম মৃত্যুতে কমিউনিটির সবাই অনেক কষ্ট পাচ্ছেন। সেই সঙ্গে সবার মনে অনেক প্রশ্ন জন্ম নিয়েছে।
স্থানীয় আদালতের রেকর্ডে দেখা যায়, মাইকেল হাইটের স্ত্রী তৌশা হাইট (৪০) গত বছরের ২১ ডিসেম্বর বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন। তৌশার আইনজীবী জানান, হাইটকে ২৭ ডিসেম্বর বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্র পাঠানো হয়।
তৌশা হাইটের আইনজীবী জেমস পার্ক বলেন, মাইকেল হাইট যে তার স্ত্রীকে শারীরিকভাবে আঘাত করবেন এমন কোনো আশঙ্কা তার মনে ছিলই না।
ইনোক সিটি হলো ইউটাহের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল শহরগুলোর মধ্যে একটি। কৃষিপ্রধান এ অঙ্গরাজ্য যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শান্তিপূর্ণ অংশ।