যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) যে সার্চ ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে, সেই ওয়ারেন্ট প্রকাশে আপত্তি তো নেই-ই, বরং সেটা প্রকাশে রীতিমতো উত্সাহ দিয়েছেন এই রিপাবলিকান নেতা।
গত সোমবার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের মার-এ-লাগো রিসোর্টে অভিযান চালায় এফবিআই। অভিযানের কারণ সম্পর্কে ট্রাম্প কিংবা এফবিআই কেউই স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি, যদিও সার্চ ওয়ারেন্টের অনুলিপি ট্রাম্পের কাছেও রয়েছে।
ওই অভিযানের ব্যাপারে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল মেরিক গারল্যান্ড জানান, ট্রাম্পের বাসভবনে অভিযান পরিচালনার জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছেন।নৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকায় অভিযানের কারণ এখনই স্পষ্ট করা যাচ্ছে না উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, ট্রাম্প নিজে অভিযানের ব্যাপারটি জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে জনগণের ‘যথেষ্ট কৌতূহল’ থাকায় গারল্যান্ড ফ্লোরিডার বিচারককে ওই সার্চ ওয়ারেন্ট প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এদিকে নিজের হাতে সার্চ ওয়ারেন্টের অনুলিপি থাকা সত্ত্বেও নিজে সেটা প্রকাশ করবেন না বলে জানিয়েছেন। সেটা প্রকাশের দায়ভার তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে ছেড়েছেন।
নিজের প্রতিষ্ঠিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, ‘ওই সব নথি প্রকাশের বিরোধিতা তো আমি করছিই না, আমি বরং এক ধাপ এগিয়ে বলছি, অবিলম্বে সেগুলো প্রকাশ করা হোক। ’ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো হয়েছে এবং এটা অপ্রত্যাশিত, আরেক পোস্টে এমন মন্তব্যও করেছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলো বলছে, ২০২১ সালের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউস ছাড়ার সময় ট্রাম্প কিছু গোপন নথি মার-এ-লাগো রিসোর্টে নিয়ে গেছেন—এমন অভিযোগে তদন্ত করছে এফবিআই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে দেশটির এক গণমাধ্যম জানায়, এফবিআই যেসব নথিপত্র খুঁজছে তার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রসংক্রান্ত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও রয়েছে। তবে সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নাকি অন্য কোনো দেশের তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি গণমাধ্যমটি।
এদিকে এফবিআইর এই অভিযান এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক ঝড় তুলেছে। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের অংশগ্রহণে এই অভিযান বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা। ট্রাম্পের সমর্থকরা এই অভিযানের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।