একের পর এক মামলা দিয়ে তেহরিক-ই-পাকিস্তান-পিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে রাজনীতি থেকে চিরতরে সরিয়ে দিতে চায় সরকার। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন ইমরান খান।
ইমরান খান বিবিসিকে বলেন, ‘তারা তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টায় লিপ্ত। সাধারণ নির্বাচনেও যেন অংশ নিতে না পারি তারও বন্দোবস্ত করছে এ সরকার। প্রতিদিন নতুন নতুন মামলা ঠুকে দিচ্ছে আমার নামে।’
ইমরান খান জানিয়েছেন, এ সরকার কোনো নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি। তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সংসদ সদস্যদের কেনাবেচার মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। ২০-২৫ কোটি রূপি দিয়ে এমপিদের ভোট ক্রয় করেছিলেন বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, পাকিস্তানর অর্থনীতি ডুবে গেছে। পাকিস্তান একটি চোরাবালিতে আটকা পড়েছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।
পাকিস্তানের কিছু রাজনীতি বিশ্লেষক মনে করেন, ইমরান খানের তেহরিক-ই-ইনসাফ আগামী আগস্ট মাসে সাধারণ নির্বাচন চায়। কিন্তু সরকারের মন্ত্রীরা বারবার ঘোষণা করেছেন যে পার্লামেন্ট তার মেয়াদ শেষ করবে এবং অক্টোবরে নতুন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ইমরান খান বলেন, বর্তমান সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষ আইনের শাসনকে ভুলূণ্ঠিত করেছে। তারা নিজেদের আইনের ঊর্ধ্বে রেখেছে। নিজেদের করা সব চুরি ও দুর্নীতি মাফ করে দিয়েছে।
শাহবাজ, নওয়াজ, জারদারি, মরিয়ম— সবাই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছে। তো এর চাইতে বড় জুলুম আর কী হতে পারে? যত সময় যাবে, তাদের উদ্দেশ্য নিজেদের বিরুদ্ধে মামলা শেষ করা।