ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতার পর সোমবার সেখানে জ্বালানি প্রবেশ করেছে। ছয় দিন আগে গাজায় মানবিক সহায়তা, জ্বালানিসহ সব কিছু প্রবেশের পথ বন্ধ করে দেয় ইসরায়েল।
মিসরের মধ্যস্থতায় ফিলিস্তিন ইসলামী জিহাদ (পিআইজে) এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মধ্যে সংঘাত বন্ধে গত রবিবার সমঝোতা হয়। সমঝোতার আগেই তিন দিনে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১৫ শিশুসহ ৪৪ জন প্রাণ হারায়।
এবারের হামলার আগে ২০১৯ সালে পিআইজের বিরুদ্ধে সর্বশেষ অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েল। এবারের সংঘাতে ইসরায়েলের হামলায় পিআইজের সামরিক শাখা আল কুদস ব্রিগেডের দুজন শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার নিহত হন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর ব্যাপক গ্রেপ্তার অভিযান চালায় তেল আবিব।
রবিবার সন্ধ্যায় গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরায়েলের আগ্রাসনে এবার তিন শতাধিক মানুষ আহত হয়।
যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে ‘অপারেশন ব্রেকিং ডন’ স্থগিতের পর ইসরায়েল জানায়, তারা পিআইজের ১৭০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। সেই সঙ্গে সংগঠনটির যোগাযোগ সুড়ঙ্গ এবং অস্ত্রাগার গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তবে মৃত্যুসংখ্যা নিয়ে অন্য রকম তথ্য দিয়ে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনালের র্যান কাচাভ জানান, অভিযানের সময় ১১ জন বেসামরিক নাগরিকসহ মোট ৩৫ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর বাইরে পিআইজের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছে ১৫ জন বেসামরিক নাগরিক।
ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ফাতাহ এবং গাজায় হামাস শাসনকার্য চালায়। ২০০৭ সালে গাজায় হামাসের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সেখানে কঠোর অবরোধ দিয়ে রেখেছে ইসরায়েল। । এ নিষেধাজ্ঞায় গাজাবাসীর জীবন বিপর্যস্ত।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের দুটি অংশে পিআইজের তত্পরতা রয়েছে। আদর্শিকভাবে তারা হামাসের কাছাকাছি। এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে তাদের সখ্যর কথা শোনা যায়।