ব্যতিক্রমী এক বিয়ে হলো মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় ওয়াজাকা রাজ্যে। সাদা গাউন আর স্বর্ণালংকার পরিয়ে একটি কুমিরকে বিয়ে করলেন দেশটির সান পেদ্রো হুয়ামেলুলার শহরের মেয়র। ঐতিহ্যবাহী গান আর নাচের মধ্য দিয়ে অদ্ভুত এ বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ব্যতিক্রমী এ বিয়ের খবর।
শত বছরের পুরনো রীতি ধরে রাখতেই এমন বিয়ের আয়োজন করেছে সেখানকার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের যোগসূত্র গড়ে তোলার জন্য এ বিয়ের মাধ্যমে প্রার্থনা করেন তারা। এই বিয়ে উপলক্ষ্যে আনন্দ আয়োজনে মাতে শহরবাসী। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার মেয়র ভিক্টর হুগো সোসা ৭ বছর বয়সী কুমিরটিকে বিয়ে করেন। মেয়র সোসা বলেন, আমরা প্রকৃতির কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি, খাবার ও নদীতে মাছ চেয়ে প্রার্থনা করেছি।
কুমিরের সাথে মানুষের এ বিয়েতে কমতি ছিল না কোনো আয়োজনে। আদিবাসী আয়োজনের সাথে যোগ হয়েছে খ্রিস্টান বিয়ের রীতি। সে অনুযায়ী আগে থেকে নির্বাচিত করা হয় বউয়ের একজন গডমাদার। শুভক্ষণে রীতিমত সাদা গাউন, গহনা আর অন্যান্য অনুসঙ্গে সুসজ্জিত হয়ে হাজির করানো হয় কুমির কনেকে।
ট্রাম্পেট আর ড্রামের বাদ্যের উৎসবমুখর তালের সঙ্গে স্থানীয় জনতা কুমিরটিকে নিয়ে গ্রামের রাস্তায় ঘুরতে গেলে পুরুষরা তাদের মাথার হ্যাট খুলে বাতাস করতে থাকেন। এ বিয়ের আয়োজক ধর্মমাতা হিসিবে পরিচিত এলিয়া এডিথ আগুইলার বলেন, এটা আমাকে অনেক আনন্দ দিয়েছে এবং আমার শেকড় সম্পর্কে আমাকে গর্বিত করেছে।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কনে (কুমির) কী পোশাক পরবে, সে বিষয়েও আমাকে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে। এটি খুবই চমৎকার একটি প্রথা।
হাসি-আনন্দের ছলে বিয়ের গোটা আয়োজন হলেও শুরু থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিলেন সবাই। কেননা দিন শেষে নববধূ এক হিংস্র মাংসাশী। দুর্ঘটনা এড়াতে তাই পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই কুমিরটির মুখ বেধে রাখা হয় দড়ি দিয়ে।
কুমির বিয়ের রীতি ধরে রাখে তাহলে মুখে লাঘাম কেন.?? এ সব ভন্ডামি করে লাভ কি
সালার বাটপার কোথাকার বাটপারি করার জায়গা পাসনা এত পারোস মুখ খুলে দিতি তোদের নববধুর! দেখতি কি খেলাটা হতো।জামাইয়ের অন্ডকোষ আর আস্ত থাকতোনা!!