লেবাননে গত দুই মাসে ইসরায়েলি হামলায় দুইশ’এর বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ।
মঙ্গলবার (২০ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউনিসেফ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেপ্টেম্বরে লেবাননে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ’র বিরদ্ধে ইসরায়েল বড়ধরনের অভিযান চালানো শুরু করার পর লেবাননে এক বছর ধরে চলা এই অভিযান সর্বাত্মক যুদ্ধে রুপ নিয়েছিল।
জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এন্ডার জানিয়েছেন, ‘দুই মাসেরও কম সময়ে লেবাননে ২শ’ এর বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। তবে এই ব্যাপারে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এতগুলো শিশুর প্রাণ যাওয়ার পরও যারা সহিংসতা বন্ধে সক্ষম, তারা কিন্তু মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।’
মুখপাত্র অবশ্য এই হত্যাকাণ্ডের জন্য কে বা কারা দায়ী সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য না করে বলেছেন, ‘যারা গণমাধ্যমে খোঁজ খবর রাখেন তাদের কারোরই বিষয়টি অজানা নয়’।
জেমস আরও দাবি করেছেন, লেবানন ও গাজার সংঘাতের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিল রয়েছে। সেখানেও ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী হামাসের যুদ্ধে ৪৩ হাজারেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জাতিসংঘের দেয়া তথ্যানুযায়ী নিহত শিশুর সংখ্যা ১৬ হাজারেরও বেশি।
এদিকে, যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে বাস্তুচ্যুত লক্ষাধিক শিশুকে ইউনিসেফ মনস্তাত্বিক সহায়তাসহ চিকিৎসা সেবা, খাদ্য এবং ঘুমের ওষুধ সরবরাহ করছে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
জেমস অভিযোগ করেছেন, গাজার ক্ষেত্রে যেমনটি হয়েছে, ঠিক লেবাননের ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।