আগামীকাল রোববার থেকে বাইরে অবস্থানকালে মাস্ক পরতে হবে না ইসরাইলের বাসিন্দাদের। করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে আসায় মাস্ক পরা বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিচ্ছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ খবর দিয়েছে ইসরাইলি পত্রিকা দ্য হারেৎস।
বৃহস্পতিবার ইসরাইলি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউলি এডেলস্টেইনের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে আদেশ জারি করতে মন্ত্রণালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মীকে নির্দেশনা দিয়েছেন এডেলস্টেইন। রোববার থেকে তুলে নেওয়া হবে নিষেধাজ্ঞাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনার সংক্রমণ কম বিবেচনায় এখন উন্মুক্ত স্থানে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে বলে মতামত দিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতামত মেনে নিয়ে তুলে নেয়া হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। তবে বাইরে মাস্ক না পরার অনুমতি মিললেও, ঘরের ভেতর অবস্থানকালে মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা বহাল থাকবে।
ইসরাইলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ইসরাইলে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা দেয়া হয়েছে ৫৩ লাখ ৩৮ হাজার ২৭৩ জনকে। এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ ব্যক্তিকে টিকার দ্বিতীয় ডোজও দেয়া হয়েছে।
এ প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার সময়, ইসরাইলে বিদ্যমান করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৯৮৪ জন। তার মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আছেন ২০৯ জন। ভেন্টিলেটর প্রয়োজন হচ্ছে ১২৬ জনের। করোনা মহামারিতে দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৬ হাজার ৩৪১ জন।
এদিকে, ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বুরলা সম্প্রতি জানান, করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার এক বছরের মধ্যে টিকাটির তৃতীয় একটি ডোজ নিতে হতে পারে। তিনি বলেন, প্রতি বছর টিকা নিতে হতে পারে।
চলতি মাসের শুরুতে ফাইজার জানিয়েছিল, তাদের টিকাটি গ্রহণের ছয় মাস পরও করোনার সংক্রমণ রোধে ৯১ শতাংশ কার্যকর থাকে। বুরলা জানান, ছয় মাসে বা তার বেশি সময় আগে টিকাটির দুই ডোজ নিয়েছেন এমন ১২ হাজার ব্যক্তির উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে এর পরে টিকাটির কার্যকারিতার হার কি রকম তা নিশ্চিত হতে আরো গবেষণা প্রয়োজন।