ওই নারী ওয়েটার টেবিল গোছগাছ করার সময় দুই যুবকই তাকে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে একজন উঠে এসে ওই নারীর হাত ধরে কিছু একটা বলেন। এরপরই শুরু হয় ধামাকা!
বিরক্তকারী যুবকের বুকে ও মুখে মুহূর্তের মধ্যে কয়েকবার ঘুসি মারেন সেই নারী। এতে তাল সামলাতে না পেরে পেছন দিকে পড়ে যায় লোকটি। এসময় তার সঙ্গীও উঠে এসে ওই নারীর সঙ্গে লড়াইয়ে নামতে চান। কিন্তু সেই সুযোগ পাননি। তার আগে তাকে লাথি দিয়ে ফের চেয়ারে বসিয়ে দেন মার্শাল আর্টে পারদর্শী ওয়েটার।
তবে দ্বিতীয় লোকটি আবারও উঠে এসে ওই নারীর ওপর আক্রমণ করেন। কিন্তু কাজ হয়নি এবারও। নারী ওয়েটারের দুর্দান্ত এক লাথিতে পিছু হটতে বাধ্য হন তিনি। এরপর পাশে থাকা একটি চেয়ার তুলে ছুড়ে মারেন সেই নারীর দিকে। কিন্তু এবারও ব্যর্থ! দারুণ দক্ষতায় চেয়ারটি ধরে এক পা এগিয়ে এসে ওই নারী কষে লাথি মারেন হামলাকারীর পেটে। তাতে ওই লোকটি হুড়মুড়িয়ে পড়ে যান পেছনে।
ঘটনাটি কবে কোথায় কী পরিস্থিতিতে ঘটেছে, তা জানা যায়নি। তবে ভিডিওটি ‘সিসিটিভি ইডিয়টস’ নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হয় গত ১৫ এপ্রিল। এর পরপরই দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায় সেটি। এ পর্যন্ত ৩৪ লাখের বেশিবার দেখা হয়েছে ভিডিওটি। মন্তব্য পড়েছে ছয় হাজারেরও বেশি।
সবাই ওই নারীর দুর্দান্ত মার্শাল আর্ট দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। অনেকেই তাকে ‘লেডি/ফিমেল ব্রুস লি’ হিসেবে মন্তব্য করেছেন। আত্মরক্ষার কৌশল জানা থাকায় ওই নারী এভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পেরেছেন উল্লেখ করে মার্শাল আর্টের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন কেউ কেউ।
আবার কিছু মানুষ এটিকে ‘সাজানো নাটক’ বলেও মন্তব্য করেছেন। একজন লিখেছেন, ঠিক যেন সিনেমার অংশ। মার্শাল আর্টের সিনেমাগুলো ভালো দেখায়, কারণ সেগুলো বাস্তবকে প্রতিফলিত করে না। এ কারণেই ভিডিওটি মঞ্চস্থ, কিন্তু দেখতে ভালো।