এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। তারপর থেকে সংঘাত থামার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়ার আক্রমণের পর লাখ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলোতে পালাচ্ছে।
এদিকে রাশিয়ার এই হামলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশ এবং প্রতিষ্ঠান তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। নতুন করে এই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে সিঙ্গাপুর। দেশটি জানিয়েছে, ইউক্রেনে হামলার কারণে রাশিয়ার বিরুদ্ধে তারা নিষেধাজ্ঞা জারি করতে যাচ্ছে।
এটি সিঙ্গাপুুরের জন্য একটি বিরল পদক্ষেপ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক কেন্দ্র সিঙ্গাপুর জানিয়েছে, তারা রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ করবে এবং রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংকের লেনদেন সীমিত করার পদক্ষেপ নেবে।
সেই সঙ্গে ক্রিপ্টোকারেন্সির লেনদেনে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে এবং রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার ওপর অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আনা হবে বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে ইউক্রেনকে নো-ফ্লাই জোন ঘোষণা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। এটি হলে ইউক্রেনের আকাশে রুশ যুদ্ধবিমান ওড়া নিষিদ্ধ হয়ে যেতো। কিন্তু তাতে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বাধার শঙ্কা রয়েছে দাবি করে এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি পশ্চিমারা।
এতে মারাত্মক ক্ষেপেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, এখন থেকে ইউক্রেনে যত মানুষ মারা যাবে, তার জন্য ন্যাটোও দায়ী থাকবে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) রাতে টেলিভিশনের এক ভাষণে জেলেনস্কি অভিযোগ করেন, পশ্চিমা নেতারা জানতেন, তার দেশে রাশিয়ার আগ্রাসন বাড়বে। তবুও পুতিন বাহিনীকে ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।