ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির। সেখানে কবিতা সিং নামে এক গৃহবধূ গত ১২ জানুয়ারি সকালে বাজার করার নামে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর আর ফেরেননি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান না পেয়ে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ওই গৃহবধূর। তার সঙ্গেই কোথাও চলে গিয়ে থাকতে পারেন কবিতা।
জানা গেছে, ১৫ বছর আগে কোন্নগড় চটকল এলাকার কবিতাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ধর্মেন্দ্র। তাদের ১৩ বছরের একটি ছেলে ও ৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। ধর্মেন্দ্র’র রিষড়া এলাকায় একটি ট্রাভেলিং এজেন্সি রয়েছে। স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন ধর্মেন্দ্র।
তিনি জানান, ছয় বছরের মেয়ে সারা দিন ধরে কেঁদে যাচ্ছে মায়ের জন্য। কী করে সামলাবেন ভেবে ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন না। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীকে ফিরে আসার আবেদনও জানিয়েছেন। তার থেকেই মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ধর্মেন্দ্র জানান, দীর্ঘ ১৫ বছরের বিবাহিত জীবনে স্ত্রীর সঙ্গে তার কোনো অশান্তি হয়নি। তবে কবিতা বেশ কিছুদিন ধরে কারও সঙ্গে রাতভর ফেসবুকে চ্যাট করত।
ধর্মেন্দ্রর সন্দেহ কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে ঘর ছেড়েছে স্ত্রী। ধর্মেন্দ্রর আবেদন সন্তানদের মুখ চেয়ে যেন স্ত্রী ফিরে আসে। সেক্ষেত্রে স্ত্রী ফিরে এলে তিনি তাকে ঘরে ফিরিয়ে নেবেন। স্থানীয়রা জানান, ধর্মেন্দ্র অত্যন্ত ভালো ছেলে। গত তিন বছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসা ভালো চলছিল না তার। তাই আর্থিক কিছু সমস্যার কারণে ওই গৃহবধূ বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে পারেন। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই ওই গৃহবধূর মোবাইলের সুইচ অফ থাকায় তার অবস্থান সম্পর্কে জানতে পারছে না পুলিশ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, খুব শিগগির ওই গৃহবধূর খোঁজ পাওয়া যাবে।