ইউক্রেনকে ‘যেকোনো সময়’ আক্রমণ করার জন্য রাশিয়ার যথেষ্ট সেনা প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশটি ছেড়ে চলে যেতে হবে। বাংলাদেশ সময় শুক্রবার গভীর রাতে যুক্তরাষ্ট্র এ সতর্কবার্তা দিয়েছে।
হোয়াইট হাউস বলেছে, বিমান থেকে বোমা হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হতে পারে।
এটি তখন ইউক্রেন ছাড়া কঠিন করে তুলবে। বেসামরিক লোকজন হয়ে পড়বে বিপন্ন।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, রুশ বাহিনী এখন ‘বড় ধরনের সামরিক অ্যাকশনে যেতে সক্ষম’। এ মন্তব্যকে মার্কিন কর্মকর্তাদের সতর্কতার মাত্রা আরো চড়া হওয়ার সুস্পষ্ট লক্ষণ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
জেক সুলিভান বলেছেন, ‘আমরা স্পষ্টতই ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারি না। আমরা ঠিক জানি না কী ঘটতে চলেছে। কিন্তু ঝুঁকি এখন খুবই বেশি। আর হুমকি এখন যথেষ্ট তাৎক্ষণিক। এতটাই যে স্থানত্যাগই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। ’
সুলিভান যোগ করেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আক্রমণ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না বাইডেন প্রশাসন তা জানে না। তবে তারা মনে করেন, ক্রেমলিন সামরিক পদক্ষেপের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য একটি অজুহাত খুঁজছে। প্রচণ্ড বিমান হামলার মাধ্যমে এটি শুরু হতে পারে।
যুক্তরাজ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, লাটভিয়া, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্য কিছু দেশও তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছে।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পশ্চিমা দেশগুলোর বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ করেছে। ইউক্রেন সীমান্তে সেনা মোতায়েন করলেও রাশিয়া দেশটিতে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করে আসছে। যুদ্ধ এড়াতে ব্যাপক কূটনৈতিক তৎপরতার প্রেক্ষাপটে ইউক্রেন নিজেও সম্প্রতি যুদ্ধের আশঙ্কাকে কমিয়ে দেখেছে। তবে দেশটি আত্মরক্ষার জন্য বেসামরিক নাগরিকদের প্রস্তুত করা ও পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে কিছু অস্ত্র সহায়তাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিও নিয়েছে।
শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউরোপের নেতাদের সঙ্গে একটি ভিডিও কলে কথা বলেন। এতে নেতারা রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে সমন্বিত গুরুতর অর্থনৈতিক শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছেন।