ভারতের শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। আজ শুক্রবার শুরু হওয়া এই নির্বাচন প্রক্রিয়া চলবে ৪৭ দিন ধরে। আকার বিচারে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় নির্বাচনি প্রক্রিয়া। মোট সাত দফায় ভোট নেওয়া হবে এবং প্রতিটি দফার জন্য পৃথক নোটিফিকেশন জারি করে আলাদা আলাদা মনোনয়ন পর্ব হবে। সারা দেশে একই সঙ্গে ভোট গণনা করা হবে ৪ জুন।
পশ্চিমবঙ্গে প্রতিটি দফাতেই ভোট গ্রহণ হবে। ওই রাজ্যে ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে শেষ দফায় ভোট নেওয়া হবে ১ জুন। কলকাতার দুটি আসনসহ রাজ্যের ৯টি আসনে ভোট ওই শেষ দফাতেই। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বিহার এবং উত্তর প্রদেশেও সাত দফায় ভোট নেওয়া হবে। লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে চারটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনও হবে।
দেশটির নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৬ কোটি, তারাই বেছে নেবেন ৫৪৩টি লোকসভা আসন থেকে কারা পার্লামেন্টে যাবেন।
ভারতের নির্বাচন কমিশন বলছে, এই ৯৬ কোটি ভোটারের প্রত্যেকের ভোটই অত্যন্ত মূল্যবান – আর তারা দেশের যে প্রান্তে, যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন – ভোটের বাক্সে তারা যাতে নিজেদের মতামত খুব সহজে ও মসৃণভাবে দিতে পারেন তার জন্য চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখা হবে না।
ভারতে নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসও বলে, অতীতে তারা মাত্র একজন ভোটারের জন্য কিংবা দেশের প্রত্যন্ত কোনও প্রান্তে হাতেগানা কয়েকজন ভোটারের কাছে পৌঁছানোর জন্য যে পরিমাণ ঝুঁকি নিয়েছে – তা প্রায় চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো।
নিরাপত্তা আর ভোটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণেই নানা দফায় ভোট করানো হচ্ছে। বয়স্ক আর শারীরিক প্রতিবন্ধকতা আছে যাদের, তাদের বাড়িতে গিয়েও ভোট নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ‘ভারতের প্রতিটি কোনায় গণতন্ত্রকে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য” সারা দেশে ১৫ লাখ ভোটকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
বেশিরভাগ ভোটগ্রহণ কেন্দ্রই স্কুল, কলেজ বা কমিনিউটি সেন্টারে হলেও বেশ কিছু অদ্ভুত জায়গাও বাছা হয়েছে বুথ তৈরি করার জন্য – যার মধ্যে রয়েছে জাহাজের কন্টেইনার, পাহাড়ের চূড়া বা জঙ্গলের মধ্যেও বুথ হচ্ছে।