English

21 C
Dhaka
রবিবার, ডিসেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

যে কারণে ভারতের একটি গ্রামের সব পুরুষ দু’টি বিয়ে করেন

- Advertisements -

বিয়ে নিয়ে প্রায়ই কিছু অদ্ভূত রীতি ও প্রথার কথা শোনা যায়। যেমন ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের কাছে রয়েছে রাজস্থানের বাড়মের জেলার অন্তর্গত দেরাসর গ্রামের প্রত্যেক পুরুষ দু’টি করে বিয়ে করেন। বিষয়টি শুনতে যতটা অদ্ভুত লাগছে তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি অদ্ভুত লাগবে এই রীতির নেপথ্য কারণ জেনে।
বড়জোর ৬০০ জনের বসবাস দেরাসর গ্রামে। সেখানে প্রতিটি পুরুষের অন্তত দু’জন করে স্ত্রী রয়েছে! গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, প্রথম স্ত্রী গর্ভে নাকি কোনও স্বামীরই সন্তান হবে না। সন্তানের মুখ দেখতে গেলে নাকি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই হবে। এই অদ্ভুত বিশ্বাস থেকেই দ্বিতীয় বিয়ে করেন গ্রামের তারা।
জানা গেছে, এমন রীতির সূত্রপাত অতীতের একটি ঘটনা থেকে। গ্রামের এক ব্যক্তির নাকি কিছুতেই সন্তান হচ্ছিল না। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করতেই সন্তানলাভ করেন। পরে বিষয়টি রীতিতে পরিণত হয়। দেখা যায়, যখনই এমন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতেন গ্রামের কোনো পুরুষ, তার দ্বিতীয় বিয়ে দেয়া হতো। আর তাতেই নাকি মিলত ফল। যদিও এখন ওরকম সমস্যা ছাড়াই দুই বিয়ে করেন সেখানের পুরুষরা।
এছাড়া দুই বিয়ের আরো একটি কারণ- ওই গ্রামের তীব্র পানির সঙ্কট। অন্তত পাঁচ কিলোমিটার হেঁটে পরিবারের নারীদের পানি আনতে হয় নারীদের। তাই অন্তঃসত্ত্বা হলে কোনো নারীর পক্ষেই হেঁটে পানি আনা সম্ভব নয়। সে কারণেও দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকেন পুরুষরা।
দুঃখজনক হলেও সত্য, প্রথমস্ত্রীকে কোনো অধিকারই দেয়া হয় না। তারা বরং বাড়ির পরিচারিকার মতো জীবন কাটিয়ে থাকেন। প্রথম স্ত্রীকে বলা হয় ‘জল স্ত্রী’। সন্তানধারণের অধিকারও পান না তারা। কোনো পুরুষ যদি এই রীতির বিরোধিতা করেন তা হলে তার বিরুদ্ধে পুরো গ্রাম একজোট হয়।
রীতি না মানলে নিজের পরিবারও পরিত্যাগ করে বাড়ির কর্তাকে। গ্রাম থেকেই বিতাড়িতও করা হয় তাকে। এছাড়া দ্বিতীয় স্ত্রীও যদি সন্তানধারণ না করে থাকেন সে ক্ষেত্রে স্বামীকে আরো একটি বিয়ে করতে হয়। উপার্জনকারী স্বামীকে পরিবারের পুরো দায়িত্ব নিতে হয়।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন