এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ বাসিন্দাদের তাদের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে বলেছে এবং কোনো বানর চোখে পড়লে অবিলম্বে জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
ইয়েমাসি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মতে, পালিয়ে যাওয়া বানরগুলো অল্পবয়সী নারী, যার প্রতিটির ওজন প্রায় ৭ পাউন্ড (৩.২ কেজি)। তবে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে, সংস্থাটি ইতিমধ্যে বানরের দলটিকে শনাক্ত করতে পেরেছে এবং তাদের খাবারের লোভ দেখানোর চেষ্টা চলছে।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, ‘অনুগ্রহ করে কোনো অবস্থাতেই এই প্রাণীদের কাছে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। এলাকায় ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে প্রাণীদের সনাক্ত করার জন্য থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা ব্যবহার করছে’।
পুলিশ আরো জানিয়েছে, গবেষণা সংস্থা তাদের বলেছে, আকারে ছোট হওয়ায় বানরগুলোর ওপর এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হয়নি। খুব কম বয়সী হওয়ায় রোগজীবাণু ছড়ানোর মতো সক্ষমতা নেই বানরগুলোর।
আলফা জেনেসিসের সিইও গ্রেগ ওয়েস্টারগার্ড বলেছেন, বানগুলোর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ‘হতাশাজনক’। তিনি বিবিসির ইউএস পার্টনার নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজকে বলেছেন, তিনি আশা করছেন বানরগুলো তাদের খাঁচায় ফিরে আসবে।
আলফা জেনেসিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রেগ ওয়েস্টারগার্ড বলেছেন, খাঁচায় ৫০টি বানর ছিল। এর মধ্যে ৪৩টি পালিয়েছে এবং ৭টি থেকে গেছে। এ কর্মকর্তার বক্তব্য অনুযায়ী, বানরগুলো গত বুধবার পালিয়েছে
সাউথ ক্যারোলাইনাভিত্তিক সংবাদপত্র দ্য পোস্ট এবং কুরিয়ারের তথ্য বলছে, গবেষণাকেন্দ্র থেকে বানর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম নয়।২০১৬ সালেও ১৯টি বানর পালিয়ে যায়। প্রায় ছয় ঘণ্টা পর তাদের ফিরিয়ে আনা হয়। এর দুই বছর আগে প্রাইমেট বর্গের ২৬টি প্রাণী গবেষণাগার থেকে পালিয়ে গিয়েছিল।
এই বছরের শুরুতে স্কটল্যান্ডের একটি চিড়িয়াখানা থেকে হোনশু নামে একটি জাপানি ম্যাকাক পালিয়ে যায়। পাঁচ দিনেরও বেশি সময় পর তাকে একটি ড্রোনের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়েছিল।