মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আসন্ন নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কলেজের বিদেশি গ্রাজুয়েটদের গ্রিন কার্ড প্রদান করবেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসন নিয়ে কঠোর বক্তৃতার জন্য পরিচিত। সে হিসেবে তার কাছ থেকে এমন বক্তব্য অপ্রত্যাশিত বটে। কিন্তু এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি প্রযুক্তি ও শিক্ষাক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করতে চান।
বৃহস্পতিবার সিলিকন ভ্যালি প্রযুক্তি বিনিয়োগকারীদের সাথে একটি পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মেধাবীদের আনতে পদ্ধতি সহজ করার অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, মার্কিন কলেজ থেকে কেউ স্নাতক হলে তার দেশে থাকতে পারা উচিত। ট্রাম্প উল্লেখ করেন, “এটা খুবই দুঃখজনক যে আমরা হার্ভার্ড, এমআইটির মতো সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় পড়ুয়াদের হারাই।” তিনি আরও বলেন, ডিপ্লোমা অনুসারে তাদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রিন কার্ড পাওয়া উচিত।
ট্রাম্পের এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি অভিবাসন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছেন, যা সিলিকন ভ্যালি এবং অন্যান্য প্রযুক্তি হাবগুলোতে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেতে পারে। তার মতে, এই পদক্ষেপ প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে।
যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিনকার্ডধারীরা দেশটিতে বসবাস এবং কাজ করার অনুমতি পান। এটি দেশটির নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ তৈরি করে, যা বিদেশি গ্রাজুয়েটদের জন্য একটি বড় সুবিধা। ট্রাম্পের এই পরিকল্পনা কার্যকর হলে প্রচুর মেধাবী বিদেশি ছাত্রছাত্রী যুক্তরাষ্ট্রে থাকার এবং তাদের ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ পাবেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ অভিবাসন নীতিতে তার আগের কঠোর অবস্থান থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে এবং এটি প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে একটি বড় ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন ঘোষণা ট্রাম্পের রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হতে পারে, যা অভিবাসন পদ্ধতিতে তার অবস্থানকে নমনীয় করার মাধ্যমে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের প্রচেষ্টা।