যুক্তরাষ্ট্রে আগাম ভোট প্রদানের আগ্রহ বেড়েছে প্রায় ৮৭ শতাংশ মানুষের। ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আগাম ব্যালট জমা হয়েছিল ৯৫২৫টি। এবার একই সময় অর্থাৎ ২৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬৬ হাজার ৭৩৪। আর এ হিসাব এসেছে ২৫ স্টেট থেকে। আরও কয়েকটি স্টেটে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হলেও সে সংখ্যা জানা সম্ভব হয়নি। ইউনিভার্সিটি অব ফ্লোরিডার রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক মাইকেল ম্যাকডোনাল্ড পরিচালিত ‘ইউএস ইলেকশন প্রজেক্ট’র পক্ষ থেকে আগাম ব্যালটের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন থেকে।
অধ্যাপক ম্যাকডোনাল্ড গণমাধ্যমকে বলেন, ডাকযোকে আসা ব্যালটের এ সংখ্যা বোর্ড অব ইলেকশন থেকে জেনেছি। আরও স্টেটের তথ্য শিগগিরই যোগ হবে এ সংখ্যার সঙ্গে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচন নানাকারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আগাম ভোটের হিড়িকে তারই প্রতিফলন ঘটেছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ, করোনা মোকাবিলায় সীমাহীন উদাসীনতায় ভোটাররা পরিবর্তন চাচ্ছেন। করোনা ভীতির কারণে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়া নিরাপদ নয় ভেবেই তারা ডাকযোগে ভোট প্রদানে উৎসাহবোধ করছেন।
ডাকযোগে ভোটকে ডেমক্র্যাটরা নিরাপদ উৎসাহিত করলেও ট্রাম্প তা সহ্য করতে পারছেন না। সর্বশেষ তিনি বলেছেন যে, ভোট জালিয়াতির জন্যে ডেমক্র্যাটরা আগাম ভোট/ডাকযোগে ভোটে মানুষকে উৎসাহিত করছে। তবে রিপাবলিকানরা তা সহ্য করবো না। প্রয়োজনে আমরা আদালতে যাবো। এজন্য ফলাফল জানতে বেশ কিছুদিন দেরি হতে পারে। প্রসঙ্গত, ট্রাম্প নিজেও আগের নির্বাচনে ডাকযোগে ভোট দিয়েছেন।
অধ্যাপক ম্যাকডোনাল্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ডাকযোগে ব্যালট জমা হয়েছিল ১৪ লাখের মতো। এবার সে সংখ্যা ছাড়িয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।
এদিকে, নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এবার ফ্লোরিডা, আইওয়া, পেনসিলভেনিয়া এবং নর্থ ক্যারলিনার ডেমক্র্যাট ভোটারেরা অনেক বেশি আগাম ভোটের আবেদন জানান। রিপাবলিকানদের মধ্যে এমন আগ্রহ খুব কম। এর ফলে এসব উভয় সংকটে থাকা স্টেটের ভোটারের মধ্যে ডেমক্র্যাটদের পাল্লা এবার ভারী হতে পারে। তবে ভোটের দিন তথা ৩ নভেম্বর যদি রিপাবলিকানরা কেন্দ্রে ব্যাপকভাবে উপস্থিত হন তাহলে ঘটতে পারে ভিন্নচিত্র।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন