ঘটনাটি ভারতের। দেশটির ছত্তিশগড়ের রায়পুরে ঘটেছে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেখানে স্ত্রী মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকায় তাকে তিন তলার বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দিয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই নারী। সেখানে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন তিনি।
জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম সুনীল জগবন্ধু। সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী স্বপ্নার সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। সুনীলের অভিযোগ, স্বপ্না বেশিরভাগ সময়ই মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। এদিনও বারবার বলা সত্ত্বেও খাবার না দিয়ে মোবাইল ঘাঁটছিলেন তিনি। এ নিয়েই ঝগড়ার সূত্রপাত। এর এক পর্যায়ে অন্য একটি ব্যাপারে নয় বছরের কন্যা শিশুকে মারধর শুরু করেন সুনীল। সে সময় স্ত্রী মোবাইল ব্যবহার করতে করতেই তাকে থামানোর চেষ্টা করেন। এতে আরও রেগে যান সুনীল। এরপর তাকে তিন তলার বারান্দা থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেন।
স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ব্যবহারের কারণে দেরি করে খাবার দেওয়া নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। তর্কের একপর্যায়ে আচমকা তিনতলা থেকে স্বপ্নাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন সুনীল। এখন গুরুতর আহতাবস্থায় রায়পুরের ডিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে স্বপ্নার। এ ঘটনায় সুনীলের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা হয়েছে। তাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।