আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘দ্য রিয়েল কেরালা স্টোরি’ যে গল্প সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ভারতীয় নাগরিক আব্দুল রহিমকে বাঁচানোর গল্প। তাকে বাঁচাতে ৩৪ কোটি রুপির তহবিল সংগ্রহ করেছে কেরালার সাধারণ মানুষ।
এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় অভিযুক্ত দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দা আব্দুল রহিমকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। গত ১৮ বছর ধরে সৌদি আরবে কারাবাস করছেন তিনি। মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচতে ভারতীয় অঙ্কের ৩৪ কোটি রুপি চাওয়া হয় আব্দুল রহিমের কাছ থেকে। ঐ অর্থ বা ‘ব্লাড মানি’ সংগ্রহ করতে আব্দুল রহিমের মা এবং পরিবারের সদস্যরা জনসাধারণের কাছে সাহায্য চান। এই আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন কেরালায় বসবাসকারী এবং দেশের বাইরে থাকা বহু মালয়ালি সম্প্রদায়ের মানুষ। ‘ক্রাউড ফান্ডিং’-এর মাধ্যমে ৪০ দিনে ঐ বিপুলসংখ্যক অর্থ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসার এই ঘটনা এমন এক সময় প্রকাশ্যে এসেছে যখন ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নামক চলচ্চিত্রটি আরো একবার ভারতের জাতীয় টেলিভিশন চ্যানেল দূরদর্শনে সম্প্রচারকে কেন্দ্র করে বিতর্ক চলছে। এতে দেখানো ‘লাভ জিহাদ’ এবং ধর্মীয় মেরুকরণসহ একাধিক বিষয়ের কারণে এমনিতেই বিতর্কের কেন্দ্রতে ছিল এই চলচ্চিত্রটি। গল্পের পটভূমি ছিল কেরালা। চলতি মাসে ঐ ছায়াছবি টেলিভিশনমাধ্যমে আরো একবার দেখানোর ঘটনায় বিজেপি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। এই ঘটনায় বাম সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছিল।
এবার আব্দুল রহিমের পরিবারের আর্জিতে সাড়া দেওয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সাহায্যার্থে এগিয়ে আসা মানুষদের প্রশংসা করে বলেছেন ‘চলচ্চিত্রে ধর্মীয় মেরুকরণের যে চেষ্টা করা হয়েছিল সেটি নয়, এটাই কেরালার আসল স্টোরি।’ সামাজিক গণমাধ্যমেও গত কয়েক দিন ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘দ্য রিয়েল কেরালা স্টোরি’। ছায়াছবিতে দেখানো গল্প নয়, কেরালার মানবিক দিকই সেই রাজ্যের আসল গল্প বলে সামাজিকমাধ্যমে এমনটা দাবি করেছেন অনেকেই।