থাইল্যান্ডে একটি হাতি তার মাহুতকে দুই ভাগে ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ১৭ আগস্ট সকালে ফাং নাগা প্রদেশের একটি রাবারবাগানে ঘটেছিল। গরমে অতিরিক্ত পরিশ্রম করার কারণে হাতিটি এ রকম করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় তাকুয়া থুং থানা থেকে স্থানীয় পুলিশকে মাহুতের মারা যাওয়ার খবর জানানো হয়।ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, পোম পাম নামের ২০ বছর বয়সী একটি পুরুষ হাতি তার মাহুত সুপাচাই ওংফায়েডকে (৩২) বাগানে ছিঁড়ে ফেলেছে।
নেক্সটশার্কের তথ্যমতে, ওংফায়েডের মৃতদেহটি একটি রক্তের পুকুরে পড়ে থাকতে দেখা যায়, যার ওপর পোম পাম হাতিটি দাঁড়িয়ে ছিল।
স্থানীয় পুলিশ থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম থাইগারকে জানায়, হাতিটি মাহুতের শরীরের অর্ধেক ছিঁড়ে ফেলার আগে কয়েকবার দাঁত দিয়ে ছুরিকাঘাতের মতো আঘাত করেছিল।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে ওয়েংফায়েড হাতিটিকে রাবার কাঠ তুলতে বাধ্য করেছিলেন। গরম আবহাওয়াতে হাতিটি পাগলের মতো হয়ে যায়। তাই হাতিটি তার মাহুতকে আক্রমণ করে।
পরে ফাং নাগা প্রদেশের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের ডাকা হয় হাতিটিকে শান্ত করতে, যাতে উদ্ধারকর্মীরা ওংফায়েডের মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেন।
উল্লেখ্য, গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী থাইল্যান্ডে জুলাই মাসে একটি হাতিকে কাজের জন্য পাহাড়ে উঠতে বাধ্য করায় সেও তার মালিককে আক্রমণ করেছিল। সে ঘটনায়ও অতিরিক্ত কাজকে দায়ী করা হয়েছিল।