English

23 C
Dhaka
শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪
- Advertisement -

মার্চে বিশ্বে খাদ্যের দামে সর্বকালের রেকর্ড: এফএও

- Advertisements -

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের ফলে খাদ্যশস্য ও উদ্ভিজ্জ তেল রপ্তানি ব্যাহত হওয়ায় গত মার্চ মাসে বিশ্বে খাদ্যের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এফএও জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বব্যাপী ক্ষুধা সংকটের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকাজুড়ে এরই মধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

রাশিয়া ও ইউক্রেনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে উৎপাদিত গম, উদ্ভিজ্জ তেল, ভুট্টাসহ বেশ কয়েকটি প্রধান শস্যের বড় অংশই বিশ্বব্যাপী রপ্তানি হয়ে থাকে। বিবৃতিতে এফএও বলেছে, কৃষ্ণসাগর অঞ্চলে যুদ্ধের কারণে প্রধান শস্য ও উদ্ভিজ্জ তেলের বাজারে ধাক্কা লেগেছে। আর এ কারণে মার্চ মাসে বিশ্বে খাদ্য পণ্যের দাম এক লাফে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

সংস্থাটি বলছে, তাদের খাদ্যমূল্য সূচক ফেব্রুয়ারিতেই রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছিল, এরপর তা গত মাসে ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ছাড়িয়েছে। ১৯৯০ সালে হিসাব রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড।

একই সময় চিনি ও দুগ্ধজাত পণ্যের দামও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের সংস্থাটি। খাদ্যমূল্য নিয়ে নিয়মিত সূচক প্রকাশ করে থাকে এফএও। খাদ্যপণ্যের আন্তর্জাতিক মূল্যের মাসিক পরিবর্তনের হিসাব রাখা এ সূচকের মার্চ মাসের গড় ছিল ১৫৯ দশমিক ৩।

দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা
এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকি বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে ফ্রান্স। স্প্যানিশ সুপারমার্কেটগুলো যুদ্ধের প্রভাবে তেলের ঘাটতির আশঙ্কায় সূর্যমুখী তেল বিক্রি সীমিত করেছে।

এফএও বলেছে, গত তিন বছরে বিশ্বব্যাপী গম ও ভুট্টা রপ্তানির প্রায় ৩০ শতাংশ ও ২০ শতাংশ হয়েছে যথাক্রমে রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। অথচ ইউক্রেনে শস্য বপনের মৌসুমে যুদ্ধ শুরু হয়েছে এবং এখনো সেটি অব্যাহত রয়েছে। এতে বিশ্বব্যাপী গমের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বেড়েছে।

ইউক্রেন বিশ্বের শীর্ষ সূর্যমুখী তেলবীজ রপ্তানিকারক। যুদ্ধ শুরুর পর ইউক্রেন থেকে এই বীজ রপ্তানি বন্ধ থাকায় এফএও’র উদ্ভিজ্জ তেলের মূল্যসূচক ২৩ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের ফলে এরই মধ্যে তেল ও গ্যাসের দাম আকাশচুম্বী অবস্থানে পৌঁছেছে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতি আরও বেড়েছে এবং এটি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ব্যাহত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৈশ্বিক এই খাদ্য সংকটের জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে দায়ী করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন