কলম্বিয়ার মাদক সম্রাট পাবলো এস্কোবারের শখের জলহস্তী দেশটির সরকারের গলার কাঁটা হয়েছে। এ খবর বেশ পুরনো। এবার এস্কোবারের ‘কোকেন জলহস্তী’র জনসংখ্যা বিস্ফোরণ ঠেকাতে বেশ কয়েকটিকে বিদেশে পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছে কলম্বিয়া।
এবার ৭০টি জলহস্তী ভারত ও মেক্সিকোর প্রাকৃতিক অভয়াশ্রমে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে লাতিন আমেরিকার দেশটি।
বর্তমানে কলম্বিয়ায় ১৩০-১৬০টি জলহস্তী রয়েছে। এস্কোবারের প্রাক্তন র্যাঞ্চ থেকে এই প্রাণীগুলো অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। এস্কোবারের র্যাঞ্চে প্রথমে মাত্র একটি পুরুষ ও তিনটি মাদি জলহস্তী আনা হয়েছিল। ১৯৮০-র দশকে প্রথম শখের বশে নিজের র্যাঞ্চে জলহস্তী আনেন এস্কোবার। এর আগে কলম্বিয়ায় জলহস্তী ছিল না।
১৯৯৩ সালে এস্কোবারের মৃত্যুর পর মোটামুটি ‘অনাথই’ হয়ে পড়ে তার চিড়িয়াখানার জলহস্তীগুলো। তার চিড়িয়াখানার অন্য সব প্রাণী সরিয়ে নেওয়া হলেও জলহস্তী পরিবহন কঠিন বলে সেগুলো সরানো হয়নি।
তবে জলহস্তীগুলোর প্রজনন বন্ধ থাকেনি। সেগুলো এখন বহুগুণে বেড়ে কলম্বিয়ার প্রধান জলপথ, ম্যাগডালেনা নদীর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি এমনই নাজুক হয়ে পড়েছিল, জলহস্তীগুলোকে মেরে তাদের সংখ্যা কমিয়ে কলম্বিয়ার ওই অঞ্চলের পরিবেশ বাঁচানোর কথা ভাবছিলেন পরিবেশবিদেরা। এদের খোজা করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তাতে খুব একটা সাফল্য আসেনি।
এবার ভিন্ন পথে হাঁটছে কলম্বিয়া। পুরুষ ও মাদি মিলিয়ে ভারতে ৬০টি ও মেক্সিকোয় ১০টি জলহস্তী পাঠানো হবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কলম্বিয়াতে জলহস্তীদের শিকার করে খাওয়ার মতো কোনো প্রাণী নেই। এদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি জীববৈচিত্র্যের জন্যও খুব একটা ভালো না, কারণ জলহস্তীদের মল নদীর পানিকে দূষিত করছে। এমনকি তা নদীর পানির গঠনও পাল্টে দিচ্ছে।