স্রেফ কলকাতা শহরেই ড্রাঙ্ক ড্রাইভিং বা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর ঘটনা দুহাজার উনিশের তুলনায় দুশো আট গুণ বেড়ে গেছে। দুহাজার উনিশে ড্রাঙ্ক ড্রাইভিং এর কেস হয়েছিল আট হাজার পাঁচশো একাত্তর আর দুহাজার বাইশে সেই সংখ্যাটি দাঁড়িয়েছে ছাব্বিশ হাজার চারশো চোদ্দটি।
কলকাতা পুলিশ এই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো রুখতে পানশালা ত্যাগ করার মুহূর্তে পানশালার ভিতরেই ব্রেথ এনালিসিসের ব্যবস্থা করার নিদান দিয়েছে। কলকাতা পুলিশের সদর বিভাগের অন্যতম জয়েন্ট কমিশনার শুভঙ্কর সিনহা সরকারের স্বাক্ষরিত চিঠিও পৌঁছে গেছে বার মালিকদের কাছে। কিন্তু বেঁকে বসেছেন তারা।
তাদের সাফ বক্তব্য, কাজটি পুলিশের। ব্রেথ পরীক্ষা করার দায়িত্ব তাদের। হোটেল বার কর্মীরা কিভাবে এটা করবেন, লোকে তাদের কথা শুনবেই বা কেন। বার বিলাসীদের এইভাবে পানশালার মধ্যে পরীক্ষা করলে ব্যবসারও ক্ষতি হবে বলে মনে করছেন মালিকরা।
এই অবস্থায় বিষয়টি ঝুলেই আছে। কলকাতা রেস্টুরেন্ট এন্ড বার এসোসিয়েশনের প্রধান সুদেশ পোদ্দার এবং ন্যাশনাল রেস্টুরেন্ট এসোসিয়েশনের কলকাতা চ্যাপ্টার এর প্রধান আদিত্য লাড়সোড়াইয়া এই ব্যবস্থার প্রতিবাদ জানিয়েছেন।তাদের বক্তব্য, রেস্টুরেন্ট – বার এর ব্যবসা যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে তখন এই সিধান্ত হারাকিরির সামিল।