English

29 C
Dhaka
বুধবার, এপ্রিল ২৩, ২০২৫
- Advertisement -

ভারতীয় নারীদের মার্শাল আর্টে ফিরিয়ে আনছেন ‘মীনাক্ষী আম্মা’

- Advertisements -

ভারতের কেরালায় ৮২ বছর বয়সেও তলোয়ারের প্রাচীন মার্শাল আর্ট ‘কলারিপায়াত্তুর’ প্রশিক্ষণ দিয়ে চলেছেন মীনাক্ষী রাঘবন। স্থানীয়দের কাছে তিনি ‘মীনাক্ষী আম্মা’ নামেই সুপরিচিত।

ভারতীয় মার্শাল আর্টে নারীদের ফিরিয়ে আনছেন এই ‘মীনাক্ষী আম্মা’। দক্ষিণ ভারতের কেরালায় অন্তত ৩ হাজার বছর আগে থেকে চলে আসা এই মার্শাল আর্ট একটি আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ।

উত্তর কেরালার একটি ছোট শহর ভাদাকারা। সেখানেই একটি আখড়ার প্রশিক্ষক মীনাক্ষী। শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম নয়। তাদের কাছে তিনি অনুপ্রেরণা।

বিবিসি জানায়, মীনাক্ষী আম্মা অন্যান্য শহরে তলোয়ার চালনা খুব কমই শেখান। মূলত নিজের কালারি স্কুলই চালান তিনি। ১৯৫০ সালে এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মীনাক্ষীর স্বামী।

সেখানে প্রশিক্ষণ দিয়ে ব্যস্ত সময় কাটে মীনাক্ষীর। তার কথায়, “আমি প্রতিদিন প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থীকে শেখাই। আমার চার সন্তানও আমি এবং আমার স্বামীর কাছ থেকে এই আর্টে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। তারা ৬ বছর বয়স থেকে শিখেছে।”

আমৃত্যু এই মার্শাল আর্ট শিক্ষা দেওয়া চালিয়ে যেতে চান বলেও জানান তিনি। মিনাক্ষী নিজেও খুব ছোট থেকে এই অস্ত্রশিক্ষা নিয়েছেন। ৮১ বছর বয়সে এসে এখনও নিজেকে ছাত্রী হিসেবেই দেখতে ভালবাসেন। তিনি চান আরও বেশি নারী এই প্রাচীন ভারতীয় মার্শাল আর্ট রপ্ত করুক।

কলারিপায়াত্তুরের বাংলা মানে রণাঙ্গন বা যুদ্ধক্ষেত্র। দক্ষিণ ভারতের বহু পুরনো এই খেলাকে বলা যায় প্রাচীন ভারতের মার্শাল আর্ট। কেরালা, কর্নাটক, তামিলনাড়ুতে খুবই জনপ্রিয় এই খেলা।

এ খেলায় কেবল তলোয়ার চালানো নয়, খালি হাত, লাঠি, ধারালো জিনিস দিয়েও এ প্রশিক্ষণ নেওয়া যায়। মীনাক্ষী আম্মার কথায়, ‘‘এটি নিছক খেলা নয়। কলারিপায়াত্তুর একটি শিল্প। এটি দুই শিল্পের মিশ্রণ। নাচের চারুকলা এবং যোদ্ধার ক্ষিপ্রতা- দু’য়ের মিশেলই কলারিপায়াত্তুর।’’

এই বয়সেও মীনাক্ষী প্রাণবন্ত, কর্মক্ষম। মীনাক্ষী বলছেন, সবই কলারিপায়াত্তুরের জন্য। শরীর এবং মনকে তরতাজা রাখতে কালারিপায়াত্তুরের জুড়ি নেই।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন