গত দুই মাসে ভারত ও পাকিস্তানে যে তাপপ্রবাহ দেখা গেছে তা নজিরবিহীন। তবে এ সপ্তাহে প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ভবিষ্যতে আরো গুরুতর তাপপ্রবাহের সম্মুখীন হতে হবে এ অঞ্চলের অধিবাসীদের।
মার্চ ও এপ্রিলে ভারত ও পাকিস্তানের ১০০ কোটিরও বেশি মানুষকে তীব্র গরম সহ্য করতে হয়েছে। অনেক স্থানে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গেছে।
অথচ বছরের সবচেয়ে উত্তপ্ত সময় এখনো শুরুই হয়নি।
বার্কলে আর্থের প্রধান গবেষক রবার্ট রোডে এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘আগামীতে তাপপ্রবাহে হাজারো মানুষ প্রাণ হারাতে পারে। ’
ভারতের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশটিতে তাপপ্রবাহে মৃত্যুহার ১৯৮০ সাল থেকে ৬০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। বাতাসের মান খারাপ হয়েছে, বড় মাপের এলাকা ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রচণ্ড অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি। এ ছাড়া তাপ আরো বাড়লে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটার শঙ্কাও রয়েছে। কিন্তু এগুলোই শেষ নয়। সায়েন্স অ্যাডভান্সেসের নতুন গবেষণা বলছে, পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। এ গবেষণায় নেতৃত্ব দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল ইউনিভার্সিটির ভিকি থম্পসন।
সংশ্লিষ্ট গবেষকরা ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুতর তাপপ্রবাহগুলোকে ক্রমতালিকায় সাজিয়েছেন। কতটা গরম পড়বে বলে অনুমান করা হয়েছিল এবং আদতে কতটা গরম পড়েছিল, ওই দুটি বিষয় তুলনা করে দেখেছেন তাঁরা।
আশ্চর্যজনকভাবে এই ক্রমতালিকায় ভারত ও পাকিস্তানের নাম নেই। এ প্রসঙ্গে থম্পসন বলেছেন, ‘স্থানীয় স্বাভাবিকত্বের বিচ্যুতির বিবেচনায় দেখলে ভারত ও পাকিস্তানের তাপপ্রবাহ এখনো ততটা চরমসীমায় পৌঁছায়নি। ’
গত ছয় দশকে সবচেয়ে খারাপ ধরনের তপ্ত সময়ের মধ্য দিয়ে গেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। এটা ঘটেছে ১৯৯৮ সালে। থম্পসন আরো বলেন, ‘ভারতে এর সমমানের একটি তাপপ্রবাহের মানে দাঁড়াবে, দেশের বড় এলাকাজুড়ে ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়েও বেশি তাপমাত্রা।