ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যরা ট্যাবলয়েড পত্রিকার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে নেতিবাচক পরিণতি ডেকে এনেছেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রিন্স হ্যারি। রাজপরিবারের সদস্যরা তাদের নিজেদের ভাবমূর্তির উন্নতি ঘটাতে তার ও তার স্ত্রী মেগানের নামে ‘কুৎসিত’ কাহিনি ছড়িয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হ্যারি। রাজতন্ত্রকে সাহায্য ও গণমাধ্যমকে পরিবর্তন করার চেষ্টায় তিনি তার সঙ্গে ব্রিটিশ রাজপরিবারের দ্বন্দ্বের কথা সংবাদপত্রে প্রকাশ করেছিলেন বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের কনিষ্ঠ পুত্র।
হ্যারি জানান, তার গণমাধ্যমের পরিবর্তনের চেষ্টাকে বাবা চার্লস ‘আত্মহত্যার মিশন’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। আজ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে হ্যারির স্মৃতিকথামূলক বই ‘স্পেয়ার’, তার আগে রবিবার গণমাধ্যমে দেওয়া দুটি বিস্তৃত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ডিউক অব সাসেক্স। ব্রিটিশ আইটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ২০২০ সালে তিনি ‘নিজেদের জীবন নিয়ে শঙ্কা থেকে’ তার পরিবার নিয়ে ব্রিটেন ছেড়ে পালিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘অনেক বছর ধরে আমার ও আমার পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা বলার পর পরিবারটির কিছু নির্দিষ্ট সদস্যের সঙ্গে ট্যাবলয়েডগুলোর সম্পর্ক আবার শুরু হয়, এই সদস্যরা তাদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে এই অসৎ সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। এই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ার এক পর্যায়ে আমার, আমার পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করা শুরু হয়, তখন আমি সীমারেখা টেনে দেই।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ভুলবশত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ হওয়ার পাঁচ দিন আগেই বৃহস্পতিবার হ্যারির বই ‘স্পেয়ার’ স্পেনে বিক্রি করা শুরু হয়ে যায়, এতে হ্যারি কীভাবে তার কৌমার্য হারান এবং অবৈধ মাদক গ্রহণ করেন সেসবসহ তার বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি পারিবারিক অসঙ্গতির আরও অন্তরঙ্গ ছবিও প্রকাশ পেয়েছে।