অনলাইন সংস্থার জিনিস ডেলিভারি করতে যেত। ফিডব্যাক নেওয়ার নাম করে নারীদের ফোন নম্বর হাতিয়ে নিতো। সেই থেকে শুরু। এরপর ছলে বলে নারীদের সঙ্গে ভিডিও কল করত। সেই কলের স্ক্রিনশট তুলে তাদের ব্ল্যাকমেইল করত। এভাবে চাপ দিয়ে ৬৬ জন নারীকে ধর্ষণ করেছে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিভাগের অন্তর্গত হুগলির এক যুবক। অবশেষে পুলিশের জালে আটক সেই যুবক।
আটককৃতের নাম বিশাল বর্মা। তার এক বন্ধু সুমনকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। হুগলির ব্যান্ডেলের ওই দুই যুবককে গত শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাদের আদালতে তোলা হয়। বিচারক দুই অভিযুক্তকে পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
বিশাল বর্মা ব্যান্ডেলের কেওটার বাসিন্দা। একটি অনলাইন সংস্থার হয়ে ডেলিভারির কাজ করত। সেই করতে গিয়েই যত কাণ্ড। ফিডব্যাক নেওয়ার অজুহাতে নারীদের মোবাইল নাম্বার নিতো। ভাব জমিয়ে চলত ভিডিও কল। এরপর সেই স্ক্রিনশট নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠাত বিশাল। চলত ধর্ষণ।
অস্ত্র দেখিয়ে কয়েকজনের টাকা, গহনাও ছিনতাই করেছে সে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার শিকার হত মূলত গৃহবধূরা। এক গৃহবধূর অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ওই নারী জানিয়েছেন, বিশাল তার গহনাও ছিনতাই করেছে। বিশাল জানিয়েছে, ওই নারী তার ৬৬তম শিকার।
গত শনিবার রাতে পুলিশের একটি দল ব্যান্ডেলের কেওটার ত্রিকোণ পার্কে হানা দেয়। বিশালের বাড়িতে ঢুকে তাকে এক নারীর সঙ্গে দেখতে পায় পুলিশ। জানা গেছে, ওই নারীকেও বিশাল একই ভাবে ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। বিশালের মোবাইল এবং তার কাছে থাকা বেশ কিছু মাইক্রোচিপে অসংখ্য নারীর ছবি এবং ভিডিও পেয়েছে পুলিশ।
একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশাল এক নারীকে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। যদিও তার দাবি, বন্দুকটি আসল নয়। ওই ছবি দেখেই বিশালের বন্ধু সুমনের খোঁজ পায় পুলিশ। সেও বেশ কিছু কুকীর্তির সঙ্গে জড়িত। সেও ওই এলাকাতেই থাকে। চার মাস আগে বিয়ে করেছে সুমন। তার পরিবার এই বিষয়ে কিছুই জানত না। সে পেশায় রঙের মিস্ত্রি।