দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক জেনে গিয়েছিল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে। এরপর সেই সম্পর্কের কথা ছাত্রীর পরিবারকে জানিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে কিশোরীকে দেড় মাস ধরে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত যুবক। শুধু তাই-ই নয়, অভিযুক্ত তার বন্ধুদেরও ডেকে এনে কিশোরীকে তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন।
এরপর এক দিন পঞ্চায়েত প্রধানের ছেলেকে একটি নির্জন মাঠে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করে কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানের অলওয়ারে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৮ মে পঞ্চায়েত প্রধান ধনীরাম যাদবের ছেলে বিক্রম যাদবের দেহ উদ্ধার হয় মাঠ থেকে। নেশাগ্রস্ত ছিলেন বিক্রম। বাড়ির লোকেরা ভেবেছিলেন, পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে বিক্রমের। তাঁর অন্ত্যেষ্টির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বাড়ির লোকেরা খেয়াল করেন, বিক্রমের গলায় আঘাতের চিহ্ন। তখনই তাদের সন্দেহ হয়, বিক্রমের মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। তাকে খুন করা হয়েছে।
এরপরই পুলিশে খবর দেন বিক্রমের পরিবারের লোকেরা। পুলিশ খুনের একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। কিন্তু কিছুতেই রহস্যের কিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া একটি মোবাইল উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই ওই কিশোরীর খোঁজ পান তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইল ফোনটি বিক্রমের। মোবাইল ফোনের মধ্যে একটি কথোপকথনের রেকর্ডিং উদ্ধার হয়। সেই কথোপকথন ওই কিশোরী এবং তার প্রেমিকের। এই সূত্র ধরেই খুনের কিনারা করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরী প্রায়ই জল আনতে যেত বিক্রমদের বাড়িতে। একদিন কিশোরী বিক্রমের মোবাইল ফোন চায় ফোন করার জন্য। মোবাইলে অটো রেকর্ডিং মোড অন করে রেখেছিলেন বিক্রম।
কিশোরী তার প্রেমিকের সঙ্গে কথা শেষে ফোনটি বিক্রমকে ফেরত দিয়ে দেয়। রেকর্ডিং থেকে বিক্রম কিশোরীর সম্পর্কের কথা জানতে পারে। তারপর থেকেই কিশোরীকে ব্ল্যাকমেল করা শুরু করে। এ ভাবে দেড় মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। এমনকি তার বন্ধুদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরির জন্য চাপ দিতে শুরু করলে প্রতিবাদ করে কিশোরী। কিন্তু তার পরেও জোরাজুরি করছিলেন বিক্রম। শেষমেশ একদিন বিক্রমকে মাঠে ডেকে খুন করে কিশোরী। সে সময় নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বিক্রম।