লেবাননের রাজধানী বৈরুতের একটি মেডিক্যাল সেন্টারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান থেকে বুধবার সকালে রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ধারাবাহিক আক্রমণ চালানো হয়। হারেক হরেইকের দার আল-হাওরা মেডিকেল সেন্টারে লক্ষ্য করে কয়েক দফা হামলা চালানো হয়েছে।
হামলা চালানোর আগে ওই এলাকার লোকজনকে অনত্র সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় দখলদার সেনারা। এরপরেই সেখানে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়। তবে সেখানে হতাহতের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি।
এর আগে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলী এবং মাউন্ট লেবাননের বিভিন্ন শহরে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছে। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং দুই শতাধিক মানুষকে অপহরণ করে জিম্মি করা হয়। এরপর থেকেই গাজায় আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এক বছরের বেশি সময় ধরে দখলদারদের হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।
গাজায় সংঘাত শুরুর পর থেকেই হিজবুল্লাহ এবং ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যেও পাল্টাপাল্টি হামলা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি হামলায় ৩ হাজার ২৮৭ জন নিহত এবং আরও ১৪ হাজার ২২২ জন আহত হয়েছে।
অপরদিকে গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৬৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও ১ লাখ ৩ হাজার ৭৬ ফিলিস্তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ইউনিট ইসরায়েলের একটি ড্রোন প্রতিহত করেছে। লেবাননের নাবাতিয়েহ এলাকার আকাশসীমা থেকে ইসরায়েলের হেরমেস ৪৫০ মডেলের একটি ড্রোন তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, ওই ড্রোনটি লেবাননের আকাশসীমা থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। এর আগে উত্তর ইসরায়েলের আপার গ্যালিলি অঞ্চলের কফার ব্লাম বসতিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করে হিজবুল্লাহ। এর আগেও ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা হামলা চালিয়েছে।