তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সরকার জনগণকে সাহায্য করার জন্য সাধ্যের সবকিছু করছে। দুর্গতদের সর্বোচ্চ সহায়তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে পাকিস্তানের বেশিরভাগ অঞ্চল এখন পানির নিচে। পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ সিন্ধু, খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানে। শক্তিশালী আকস্মিক বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জুনায়েদ খান নামে একজন বলেন, আমরা বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করে যে বাড়িটি তৈরি করেছিলাম সেটি আজ আমাদের চোখের সামনে ডুবে গেছে। আমরা রাস্তার পাশে বসে আমাদের স্বপ্নের বাড়িটি ডুবতে দেখেছি কিন্তু আমাদের কিছুই করার ছিল না।
সালমান সুফি বলেন, পাকিস্তানে এমনিতেই অনেক অর্থনৈতিক সমস্যা তৈরি হয়েছিল। যে সময় আমরা এ অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোকে কাটিয়ে উঠছিলাম ঠিক তখন আমাদের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। অনেক উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে দিয়ে দিচ্ছি। সত্যি বলতে পাকিস্তানের এখন আন্তর্জাতিক সাহায্যের অনেক বেশি প্রয়োজন।
গতকাল শনিবার সিন্ধু প্রদেশের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার দেশটিতে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকার।