‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপনের মামলায় ফের আরও বিপাকে যোগগুরু রামদেব। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মামলার মধ্যেই দ্বিতীয়বার সমন পাঠাল হরিদ্বারের একটি আদালত।
হরিদ্দার আদালতের পাঠানো নতুন এই নোটিসে রামদেবের পাশাপাশি তার সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে। হরিদ্বারের আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি আধিকারিক ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন যোগগুরু রামদেব ও তার সহকারী আচার্য বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধে।
যোগ গুরুর রামদেবের আয়ুর্বেদিক ওষুধের নির্মাণকারী সংস্থা পতঞ্জলির বিরুদ্ধেও আলাদাভাবে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই মামলার প্রাথমিক শুনানির পর হরিদ্বারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহুলকুমার শ্রীবাস্তব রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে গত ১০ই মে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিলেন।
যদিও সেই নির্দেশ মান্য করেননি যোগগুরু এবং তার সহযোগী। সেই সূত্রে এবার দ্বিতীয়বার সমন পাঠাল আদালত। আগামী ৭ই জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে রামদেবদের হাজির থাকতে বলা হয়েছে।
অ্যালোপ্যাথি ওষুধের ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন এবং ‘মিথ্যে’ প্রচারের অভিযোগে রামদেব, বালকৃষ্ণ এবং পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মামলায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হরিদ্বারের আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি অফিসার।
পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়, জ্বর, টাইফয়েড থেকে শুরু করে যকৃতের অসুখ, ত্বকের সমস্যা-সহ নানা ধরনের অসুস্থতার চিকিৎসায় সাধারণত যে সব ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে ‘বিষাক্ত, সিন্থেটিক’। এই দাবির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
উল্লেখিত, বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মামলায় সম্প্রতি প্রবল অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে রামদেব ও তার সংস্থাকে। বার বার সুপ্রিম কোর্ট ভর্ৎসনা করেছে তাদের। নির্দেশ মতো সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্ষমাও চায় পতঞ্জলি।
কিন্তু শীর্ষ আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, রামদেবের ক্ষমাপ্রার্থনা নাকচ করা হল। কারণ ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গি মোটেও আন্তরিক ছিল না। পরের দিন আবারও সুপ্রিম কোর্টের কাছে ক্ষমা চান রামদেব।
সুপ্রিম কোর্টের ভৎসনার পর আবার অস্বস্তি বাড়লো যোগগুরু রামদেবের হরিদ্বার আদালতের সমনে।