শত শত অভিবাসী ও শরণার্থী বেলারুশের প্রায় হিমাঙ্কের কাছাকাছি তাপমাত্রায় ক্যাম্প করে অবস্থান করছে। পোলিশ নিরাপত্তা বাহিনী সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টাকারীদের বাধা দেওয়ার প্রেক্ষিতে তারা এ অবস্থান নেয়। ওদিকে, ওয়ারশ-এর কর্মকর্তারা আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি ‘সশস্ত্র’ রূপ ধারণ করতে পারে বলে মনে করছে।
পোল্যান্ডের অভিযোগ, বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো তার সরকারের ওপর দীর্ঘদিন ধরে চলা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ নিতে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে অভিবাসী ও উদ্বাস্তুদের মধ্য ইউরোপ এবং বৃহত্তর ইউরোপীয় ইউনিয়নে পাড়ি জমাতে উৎসাহিত করে আসছে। সাম্প্রতিক ঘটনাটি একটি বড় সংঘর্ষের দিকে যাচ্ছে বলেও মনে করে পোল্যান্ড।
সোমবার, শত শত মানুষ কুজনিকা গ্রামের কাছে পোলিশ সীমান্তের দিকে যাওয়ার পর পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কেউ কেউ কোদাল এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে কাঁটাতারের বেড়া ভাঙার চেষ্টা করে। এর প্রতিক্রিয়ায় পোলিশ সরকার অতিরিক্ত সেনা, সীমান্তরক্ষী ও পুলিশ মোতায়েন করেছে। শরণার্থী ও অভিবাসীদের সীমান্ত অতিক্রম করতে দেওয়া হয়নি।
পোল্যান্ডের বর্ডার গার্ড মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানায়, প্রায় আট শতাধিক লোক রাতের হিমায়িত তাপমাত্রায় ক্যাম্প করে। আনুমানিক চার হাজার অভিবাসী এবং উদ্বাস্তু সেখানে এবং কাছাকাছি বনে আছে।
মানবাধিকার আইনজীবী মার্তা গোর্কজিনস্কা কজন আটকা পড়া অভিবাসী ও উদ্বাস্তুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি বার্তা সংস্থা আলজাজিরাকে বলেন, পরিস্থিতি ‘দ্রুত খারাপ হচ্ছে’। পোল্যান্ড ও বেলারুশের মধ্যে অবস্থিত বনের অবস্থা খুব খারাপ। এটি এমন একটি পরিবেশ যেখানে খাবার এবং পানীয় জল পাওয়া কঠিন। উষ্ণ আশ্রয় নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, এখানে অবস্থানকারীরা সব রকম মৌলিক মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত। বেলারুশ এদের সহায়তা প্রদানের জন্য দায়ী। তারা এদের ইইউর ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চায়। অন্যদিকে পোল্যান্ডও এদের সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য।
সাবস্ক্রাইব
নিরাপদ নিউজ আইডি দিয়ে লগইন করুন
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন