ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখার চেষ্টা করছেন সদ্য পুনর্নিবাচিত হওয়া প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি নির্বাচনে বামপন্থী দলগুলোর জোট থেকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ম্যাখোঁ তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। স্থানীয় সময় রবিবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া এই ভোটে প্রায় চার কোটি ৮৭ লাখ ভোটার ভোট দেওয়ার কথা।
প্রথাগতভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরপরই পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালে মাখোঁ বেশ কিছু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণে বাধার সম্মুখীন হতে পারেন। বিশেষ করে অর্থনৈতিক সংস্কারের নানা নীতিতে তাকে পার্লামেন্টের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে।
প্রথম ধাপে কেবল তারাই নির্বাচিত হবেন, যাদের আসনে অন্তত ২৫ শতাংশ ভোট পড়বে এবং সেই ভোটের ৫০ শতাংশ যারা পাবেন। ফলে বেশিরভাগ আসনে বিজয়ীই মূলত নির্ধারণ হবেন আগামী রবিবার (১৯ জুন) দ্বিতীয় দফার ভোটে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে প্রথম ধাপের শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোটের লড়াই হবে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাখোঁর মূল চ্যালেঞ্জ এসেছিল কট্টর ডানপন্থী লি পেনের তরফ থেকে। কিন্তু এবার মাখোঁর চ্যালেঞ্জ আসছে উল্টো শিবির- কট্টর বামদের কাছ থেকে।
ফ্রান্সের তারকা বামপন্থী নেতা জ্যঁ লুক মেলাঞ্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তখন একক লড়াইয়ে থাকলেও এবার পার্লামেন্ট নির্বাচনে মেলাঞ্চ ছোট কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট গঠন করেছেন। মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেও এমন জোটের কথা চিন্তাও করতে পারছিলেন না অনেকে।
সোশ্যালিস্টরা ছাড়াও ফ্রান্সের গ্রিন এবং কমিউনিস্ট পার্টিগুলোও যোগ দিয়েছে এই জোটে। এক জরিপে দেখা গেছে, এই জোট পার্লামেন্ট নির্বাচনে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে ফেলবে মাখোঁর মধ্যপন্থী জোটকে।