ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনায় ফি দিতে না পারায় দরিদ্র, অসহায় এক বৃদ্ধার প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের নাম কেটে দিয়েছেন এক চিকিৎসক। অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম জ্যোতির্ময় দাস। তিনি কালনা মহকুমা হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক।
বেশ কয়েক মাস ধরে মাথা ও ঘাড়ের যন্ত্রণায় ভুগছিলেন কালনার নান্দাই গ্রামের বৃদ্ধা মালতী দেবনাথ। তার একমাত্র কর্মজীবী ছেলে কর্মসূত্রে মুম্বাইয়ে থাকেন। ছেলের স্ত্রী ও নাতনিকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন অসুস্থ মালতী দেবী। গত ৪ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে কালনা মহকুমা হাসপাতালের সাবেক চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দাসের বৈদ্যপুর মোড়ের চেম্বারে দেখাতে যান তিনি। ওইদিন চিকিৎসককে তার ফি মিটিয়ে দিয়েছিলেন মালতী দেবী।
এরপর চিকিৎসকের নির্দেশমত বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান তিনি। তারপর ১৩ ফেব্রুয়ারি মালতী দেবীর রিপোর্ট দেখাতে জ্যোতির্ময় দাসের চেম্বারে যান মালতী দেবীর এক প্রতিবেশী। রিপোর্টে জানা যায়, মালতী দেবী ব্রেন স্ট্রোক ও স্পন্ডাইলাইটিসে আক্রান্ত। সে অনুযায়ী প্রেসক্রিপশনে বেশ কিছু ওষুধ লেখেন চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দাস। এরপর চিকিৎসক জ্যোতির্ময় দাসের দাবি মত ফি দিতে না পারলে, প্রেসক্রিপশনে লেখা ওষুধের নাম কেটে দেন তিনি।
এই অমানবিক ঘটনা জানাাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দরিদ্র, অসহায়, অসুস্থ বৃদ্ধাকে এভাবে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়ে কালনার সাধারণ মানুষ। এই ঘটনার পর থেকেই এলাকা থেকে লাপাত্তা চিকিৎসক জ্যোর্তিময় দাস।