হজ বা ওমরাহ পালন করতে নারী যাত্রীর সঙ্গে মাহরাম (রক্ত সম্পর্কের পুরুষ আত্মীয়) থাকার বাধ্যবাধকতা তুলে নিয়েছে সৌদি আরব। ফলে এখন থেকে নারীদের হজ ও ওমরা পালনে আর পুরুষ অভিভাবকের প্রয়োজন হবে না।
সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ বলেন, বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে নারীরা সৌদি আরব এসে হজ বা ওমরাহ পালন করবেন।
সোমবার মিশরের রাজধানী কায়রোতে অবস্থিত সৌদি দূতাবাসে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে একথা জানিয়েছেন ড. তাওফিক আল-রাবিয়াহ।
সংবাদ সম্মেলনে আল-রাবিয়াহ বলেন, ‘হজ বা ওমরাহ পালনের ক্ষেত্রে কোনো দেশের জন্য কোনো কোটা বা সংখ্যা নির্ধারিত নয়। বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে যেকোনো ভিসা নিয়ে সৌদি আসলে ওমরাহ করা যাবে।’
এ সময় তিনি হজ ও ওমরাহ পালনের খরচ কমানোর বিষয়ে সৌদি সরকারের আগ্রহের কথা জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি অনেক কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত। অবশ্য এ বিষয়ে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।’
আল-রাবিয়াহ বলেন, পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারামের ইতিহাসে সর্বকালের বৃহত্তম সম্প্রসারণ ঘটেছে। পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদ সম্প্রসারণে দুই মিলিয়নের বেশি সৌদি রিয়াল ব্যয় হয়েছে।
এতদিন নারীদের হজ পালনে রক্তের সম্পর্কের কারো সহযোগিতার প্রয়োজন হত। যাকে বলা হয় মাহরাম। অবশেষে এ বিতর্কের অবসান ঘটলো।