করোনা নিয়ে দেশবাসীকে সতর্ক করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সবাইকে জনবহুল জায়গায় মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভারতের কভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রতি সপ্তাহে বৈঠকে বসবে বলেও জানা গেছে।
বুধবার নয়াদিল্লিতে করোনা মোকাবেলায় একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে বসেছিলেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়।
বৈঠকের পর তিনি টুইটে বলেন, ‘করোনা এখনো যায়নি। ’ সব রকম পরিস্থিতি মোকাবেলায় ভারত প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছুদিন আগেই শূন্য কভিডনীতি শিথিল করেছিল চীনের প্রশাসন। তার পরই দেশটিতে হু হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ, বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও। শুধু চীনই নয়, করোনা সংক্রমণ বেড়েছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিলের মতো দেশগুলোতেও।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, এমন পরিস্থিতিতে সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগৃহীত নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য কেন্দ্রের অনুমোদিত ‘ইনসাকগ’ পরীক্ষাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে মানুষের মধ্যে করোনার নতুন কোনো রূপ (ভেরিয়েন্ট) মিলছে কি না, তার একটা ধারণা পাওয়া যাবে।
বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কোন কোন সাবধানতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। আসন্ন বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ চিন্তায় রেখেছে ভারতের সরকারকে।
দেশের বিভিন্ন শহরে ওই দুই দিন উদ্দাম জনস্রোত কভিডবিধি মানবে না, এটি একপ্রকার ধরে নিয়েই এগোতে চাইছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এখনই বছর শেষের পার্টি কিংবা বিচিত্রানুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও সাবধানে পা ফেলতে চাইছে সরকার। অন্যদিকে দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটি অংশ করোনার বুস্টার ডোজ নেয়নি। তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সরকার।
এদিকে বুধবার বৈঠকে উপস্থিত সবাইকেই মাস্ক পরে থাকতে দেখা গেছে। দেশটিতে কভিডবিধি কার্যকর থাকলেও মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়। আবারও মাস্ককে বাধ্যতামূলক করা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে চিঠি দিয়ে ভারত জড়ো যাত্রায় কভিড নীতি অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছিলেন ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তা না করা গেলে পদযাত্রা বন্ধ রাখা উচিত বলে চিঠিতে জানান তিনি।