ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা দশম দিনে গড়িয়েছে। এরই মধ্যে মস্কোর ওপর একেরে পর এক কঠোর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা বিশ্ব। এমন পরিস্থিতিতে পশ্চিমা দেশগুলো অর্থনৈতিক ডাকাতি শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেসকভ এই মন্তব্য করে বলেন, রুশ সরকার তাদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেবে। তবে সেই পদক্ষেপ কী হতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু না বললেও রাশিয়ার স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাশিয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘনিষ্ঠ ধনকুবেরদের বিরুদ্ধে ব্রিটেন, ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে। এরপরই পেসকভের এই মন্তব্য সামনে এলো।
তিনি বলেন, রাশিয়া অনেক বড় এক দেশ। তাকে কখনোই একঘরে করে রাখা যাবেনা।
ত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে প্রেসিডেন্ট পুতিন সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী। শত্রু সেনাদের প্রতিহত করতে ঝাঁপিয়ে পড়ে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির নিরাপত্তা বাহিনীও। দু’পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে এখনো।
রাশিয়ার সেনাদের ক্রমাগত গোলাবর্ষণে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ইউক্রেনের অভিযোগ, বেসামরিক লোকদের টার্গেট করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগর উপকূলীয় ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলের শহরগুলোতেও চলছে তীব্র লড়াই। এ ছাড়া দেশটির উত্তর ও পূর্ব দিক থেকেও আক্রমণ চালাচ্ছে রুশ সেনারা।
এরই মধ্যে রুশ সেনারা খারসন শহর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও চলছে হামলা-পাল্টা হামলা। বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেখানে। এতে বেসামরিক লোক হতাহতের দাবি করছে ইউক্রেন।